কলকাতা: বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West Bengal State Election Commission)। আজ থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়ন পত্র তোলার পালা। আর তা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষিপ্ত গোলমালের খবর উঠে আসছে। কোথাও মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা। আবার কোথাও অভিযোগ, ডিসিআর এসে পৌঁছয়নি। সেই কারণে মনোয়ন জমা না দিয়েই ফিরতে হয়েছে বিজেপিকে। এমন সব অভিযোগের বিষয়গুলি নিয়ে শুক্রবার বিকেলে প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim)। তাঁর বক্তব্য, ‘এখনও তো কোনও দলই তালিকা প্রকাশ করেনি। আমি যতদূর জানি, তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম কেউ এখনও লিস্ট বের করেনি। তাহলে মনোনয়ন দিতে গেলেন কারা?’
ফিরহাদ হাকিমের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। মন্ত্রীকে পাল্টা দিয়ে তিনি বলেন, ‘ফিরহাদ হাকিম এই কথা বলে মানুষকে অপমান করেছেন। কোনও রাজনৈতিক দলেরই পঞ্চায়েতে ৭৩ হাজারের বেশি প্রার্থী তালিকা এভাবে প্রকাশ হয় না। এগুলি পুরোটাই জেলাস্তরে ও মহকুমাস্তরে হয়। উনি সব জেনেও এসব বলছেন।’
এদিকে মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিনেই যে দৃশ্য ধরা পড়েছে বিভিন্ন জেলায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। বলেছেন, ‘একটা অদ্ভুত চিত্র উঠে আসছে। বহু জায়গায় বিডিও প্রস্তুত নন। কোনও টেবিল নেই, কোনও মনোনয়ন পত্র নেই। কোনও কাগজ দিতে পারছে না। তুফানগঞ্জ, বারুইপুর, বহরমপুর সহ বিস্তীর্ণ জায়গায় আজ বিডিওরাই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নন। কোনও প্রস্তুতি ছাড়া শুধুমাত্র একটি দখলদারির নির্বাচনকে মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে যেভাবে নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে, তা নিয়ে তোপ দেগেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। সিপিএম নেতা বলেন, ‘সরকারি দফতর প্রস্তুত নয় মনোনয়নের জন্য। কিন্তু তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী পুলিশের প্রশ্রয়ে রিটার্নিং অফিসারের পাশে বসে আছে, ধাক্কাধাক্কি করছে। মনোনয়ন তুলতে যেতে বাধা দিচ্ছে। যাঁরা বাধা অতিক্রম করে যাচ্ছেন, তাঁরা আবার অফিস থেকে ফর্ম পাচ্ছেন না। প্রথম দিনেই কমিশনের ব্যর্থতা স্পষ্ট।’
তোপ দেগেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। তাঁরও বক্তব্য, ‘কংগ্রেস প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূলের মস্তান বাহিনী পুলিশের মদতে বিডিও অফিস ঘিরে রেখেছে। কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কী হবে, তার ছোট প্রমাণ আজ তৃণমূল দিয়ে দিয়েছে।’