কলকাতা : সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President Election 2022)। আর তার আগে ফের একবার তৃণমূলের আদিবাসী-দরদি ভাবমূতি তুলে ধরতে কোনও খামতি রাখলেন না রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। রাজ্যের আদিবাসী জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে মমতার সরকার আসার পর যে উন্নয়ন হয়েছে, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দিলেন ফিরহাদ। উল্লেখ্য রামনাথ কোভিন্দের উত্তরসূরি হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর বিপরীতে বিরোধী দলের তরফে লড়াই করছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহসভাপতি যশবন্ত সিনহা। কিন্তু ইতিমধ্যেই দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে সুর নরম করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলেছিলেন, তিনি সবসময় আদিবাসীদের পক্ষে।
এমনকী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একজন আদিবাসী মহিলাকে প্রার্থী করার বিষয়টি বিজেপি যদি আগে জানাত, তাহলে বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা যেত বলেও মত প্রকাশ করেছিলেন মমতা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগের দিন আবারও তৃণমূলের আদিবাসী-দরদি ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা দেখা গেল মমতার মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ফিরহাদ হাকিমের গলায়। মন্ত্রী বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস কখনোই আদিবাসী বিরোধী নয়। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের দল, মানুষের হয়ে কাজ করে এবং মানুষের হয়েই থাকবে। আদিবাসীদের সঙ্গেও তৃণমূল কংগ্রেস আছে। হয়ত অনেকে জানেন না আমলাশোল থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় আগে মানুষ পিঁপড়ে খেত। এখন তৃণমূল আসার পরে সেখানে মানুষ সম্মানের সঙ্গে মাথা তুলে বেঁচেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেই সব জায়গায় বাংলার উন্নয়ন পৌঁছে গিয়েছে। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলে বাংলা।”
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে অনেকটাই এগিয়ে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। রাজ্যে এসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রচারও করে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহা, যিনি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত হওয়ার আগে পর্যন্ত তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন, তাঁকে এই রাজ্যে প্রচারে আসতে দেখা যায়নি।