Firhad Hakim: ‘আমরা তদন্ত করেছিলাম, কোনও অস্বচ্ছতা ছিল না’, সিবিআই হানা নিয়ে মন্তব্য ফিরহাদের
Firhad Hakim: এ দিন ফিরহাদ সাংবাদিকদের বলেন, "যে দোষ করেছে সে শাস্তি পাবে। চুঁচুড়া পুরসভায় নিয়োগে অনিয়ম দেখেছিলাম। সেটা বাতিল করেছি। কোন পুরসভায় কী হয়েছে সেটা তো মন্ত্রীর জানার কথা নয়।"
কলকাতা: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নেমেছে সিবিআই (CBI)। সল্টলেকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ‘পুরোটাই রাজনীতি’, অভিযোগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জানা গিয়েছে, বুধবার একযোগে রাজ্যের মোট ১৪টি পুরসভায় পৌঁছন সিবিআই-এর একদল আধিকারিক। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ‘রাজনীতির’ গন্ধ পান ফিরহাদ। তিনি জানেন না কী উদ্দেশ্যে এ দিনের হানা। তবে ত্রাস তৈরির চেষ্টা চলছে বলে কটাক্ষ করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী।
এ দিন ফিরহাদ সাংবাদিকদের বলেন, “যে দোষ করেছে সে শাস্তি পাবে। চুঁচুড়া পুরসভায় নিয়োগে অনিয়ম দেখেছিলাম। সেটা বাতিল করেছি। কোন পুরসভায় কী হয়েছে সেটা তো মন্ত্রীর জানার কথা নয়।”
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য হাতে পায় ইডি। প্রোমোটার অয়ন শীলের অফিস বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত নথি পান ইডি কর্তারা। অভিযোগ পুরসভার বিভিন্নপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে। কাঁচরাপাড়া, নিউ ব্যারাকপুর, কামারহাটি, টিটাগড়, বরাহনগর, টাকি, হালিশহর, দমদম, উত্তর দমদম-সহ প্রায় কুড়িটির বেশি পুরসভার নিয়োগে সরাসরি দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যায় বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। এছাড়া সব মিলিয়ে নজরে রাজ্যের ষাটটির বেশি পুরসভার নিয়োগ।
এর আগে খোদ ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন যে যদি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয় তাহলে তিনি তা খুঁজে বের করবেন। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে আমরা একটা তদন্ত করছিলাম। ঠিক তদন্ত বলা ভুল, আমরা বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখছিলাম। এখনও পর্যন্ত আমার অস্বচ্ছতা লাগেনি।”