TV9 বাংলা ডিজিটাল: কিছুটা প্রত্যাশিতভাবেই বাম-কংগ্রেসের ডাকা বনধে রাজ্যের (National Trade Union’s strike ) বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি। কোথাও কোথাও হল রেল অবরোধ, কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে চলল বিক্ষোভ। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের কোথায় বড়সড় অশান্তি হয়নি।
সকালের দিকে শিয়ালদা শাখায় রেল পরিষেবা ব্যাহত হলেও, পরের দিকে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। শেওড়াফুলি-বৈদ্যবাটিতে রেল অবরোধ হয় বেশ কিছুক্ষণের জন্য। হুগলি স্টেশনে রেল অবরোধ হলেও, নিট পরীক্ষার্থীদের আবেদনে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। যাদবপুর স্টেশনে বন্ধ সমর্থকেরা ট্রেন লাইনের উপরেই বসে পড়ে অবরোধ শুরু করেন বাম কর্মীরা। উলুবেরিয়া ও বীরশিবপুর স্টেশনের মাঝে রেল অবরোধ করলেন ধর্মঘট সমর্থনকারীরা। অবরোধ হয় মধ্যমগ্রাম স্টেশন, বনগাঁ-শিয়ালদা শাখাতেও।
অন্যদিকে, বন্ধ সমর্থককারীরা কয়েকটি মেট্রো স্টেশনে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য জমায়েত হলেও তাঁরা ভিতরে ঢুকতে না পারেননি।
বিভিন্ন জেলার দোকানপাট এদিন সকাল থেকে বন্ধই ছিল। হুগলি ও বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের কলকারখানা ও জুটমিলগুলিতে হাজিরা ছিল কম।
হাওড়ায় আমতা রোডের শানপুর মোড়ে অবরোধ করেন ধর্মঘট সমর্থনকারীরা। কুশপুতুল পোড়ানো হয়। বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ে যশোর রোডে রাস্তায় বসে পড়ে অবরোধ বামেদের। বারাকপুরে চলে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। কান্দি বাসস্ট্যান্ডে পথে নামেন অবরোধকারীরা। বনধ পালন করতে গেলে পুলিসের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। লেনিন সরণিতে জোর করে দোকান বন্ধের অভিযোগ বন্ধ সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে। ধর্মতলায় টায়ার পুড়িয়ে পথ অবরোধ করেন ধর্মঘটের সমর্থনকারীরা।
আরও পড়ুন: ২০২১-এ মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকে সিলেবাস কমবে ৩০-৩৫ শতাংশ, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
যদিও বনধ ব্যর্থ করতে পথে নামেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। রাজ্য বিজেপি-র তরফে জানানো হয়েছে, এই বন্ধের সর্বাত্মক বিরোধিতা করেন তারা।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক বিরোধী বিল প্রত্যাহার, কর্মহীন শ্রমিকদের কাজ সুনিশ্চিত করা-সহ একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম সংগঠনগুলি।