NRS Hospital: এনআরএসে অ্যাম্বুলেন্সের চাকার হাওয়া খুলল সিভিক, কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা দরকার
অনেক সময় অভিযোগ ওঠে, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকরা কথা শুনতে চান না। হাসপাতালচত্বরে এমনভাবে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে রাখেন, তাতে অন্য রোগীদের সমস্যা হয়।
ইউএন বিল্ডিংয়ের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে তাঁরা গিয়েছিলেন উপরে রোগীকে নামাতে। অভিযোগ, রোগীকে নামিয়ে আনার সময় তাঁরা দেখেন অ্যাম্বুলেন্সের চারটে চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, এনআরএসের পুলিশ ফাঁড়ির কর্মীদের উপস্থিতিতে সিভিক ভলান্টিয়াররা এই ঘটনা ঘটান। রোগীর পরিজনের বক্তব্য, সরকারি হাসপাতালে এটুকু মানবিকতা কি দেখানো যায় না? একজন রোগীকে বের করে এনে অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে কিছুটা সময় তো লাগবেই। চাইলে এর জন্য কেস দিতে পারতেন। কিন্তু চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া মানে তো রোগীকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিড়ম্বনায় ফেলা।
অনেক সময় অভিযোগ ওঠে, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকরা কথা শুনতে চান না। হাসপাতালচত্বরে এমনভাবে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে রাখেন, তাতে অন্য রোগীদের সমস্যা হয়। কিন্তু কার্যকারণ যাই থাকুক না কেন, একজন রোগীর জন্য ঠিক করা অ্যাম্বুলেন্সের চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া কি কোনও সুরাহা দেখাতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রোগীর আত্মীয়রা বলেন, “ভোগান্তি হল রোগীর। রোদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়। পরে ওরা একটা গাড়ি ঠিক করে দিয়েছে। কিন্তু তাও প্রায় দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর। এতক্ষণে অর্ধেক রাস্তা চলে যেতে পারতাম।” ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক জানান, “ওনারাই বললেন আমাদের একটু সাহায্য করে দিন। আমি ট্রলিতে রোগীকে তুলে দিয়ে বললাম আপনি লিফট দিয়ে নামুন, আমি গাড়িটা খুলি। এসে দেখি চারটে চাকার হাওয়া খোলা।”
এনআরএসের ডেপুটি সুপার শর্মিলা মৌলিকের অবশ্য বক্তব্য, অভিযোগটা যেভাবে এসেছে তা ঠিক নয়। এখানে হাসপাতালে সারাক্ষণ অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করে রাখা হয়। রোগীর লোকজনের যাতে যাতায়াতে সুবিধা হয় সে কারণেই কড়াকড়ি। এই চালকের অভিযোগ সাজানো বলেই মনে করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, এমন ঘটনা ঘটে থাকলে রোগীর বাড়ির লোকেরা সরাসরি তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারত। এই ঘটনার সত্যতা কতটা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছে তারা।