AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pallavi Dey Death: পাকছে রহস্য, পল্লবীর মৃত্যুতে রাতভর গড়ফা থানায় জিজ্ঞাসাবাদ সাগ্নিককে, এবার পুলিশই দায়ের করল খুনের মামলা

Actress Death: শুধু বৈষয়িক জটিলতাই নয়, সম্পর্কের কানাগলিতেও মাঝেমধ্যে পল্লবী খেই হারাতেন এমনই দাবি পল্লবীর বাবার।

Pallavi Dey Death: পাকছে রহস্য, পল্লবীর মৃত্যুতে রাতভর গড়ফা থানায় জিজ্ঞাসাবাদ সাগ্নিককে, এবার পুলিশই দায়ের করল খুনের মামলা
খুনের অভিযোগ দায়ের সাগ্নিকের বিরুদ্ধে।
| Edited By: | Updated on: May 23, 2022 | 12:20 PM
Share

কলকাতা: ছোটপর্দার অভিনেত্রী পল্লবী দে’র রহস্যমৃত্যুতে গড়ফা থানায় দায়ের হল খুনের মামলা। সোমবার গড়ফা থানার পুলিশ এই মামলা দায়ের করে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা রুজু হয়েছে। সঙ্গে প্রতারণা, জালিয়াতি, বিশ্বাসভঙ্গ, সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারাও যুক্ত হয়েছে। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ এই অভিযোগে সাগ্নিক চক্রবর্তীর পাশাপাশি ঐন্দ্রিলার নামও রয়েছে। সাগ্নিক চক্রবর্তী ও পল্লবী-সাগ্নিকের ‘কমন ফ্রেন্ড’ এই ঐন্দ্রিলা। পারিপার্শ্বিক প্রমাণকেই হাতিয়ার করতে চাইছেন পল্লবীর আইনজীবী। তিনি জানান, একটি মার্ডার কেসের অভিযোগ জানানো হয়েছে। এদিকে এই অভিযোগের পর সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত গড়ফা থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাগ্নিককে। ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিকও। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি অভিনেত্রী পল্লবী ও সাগ্নিকের মধ্যে সম্পত্তি কেনা নিয়ে একটা টানাপোড়েন চলছিল। সূত্রের খবর, সেই সবদিকও জিজ্ঞাসাবাদ করে সাগ্নিকের কাছে জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগে মূলত যে বিষয়গুলি তুলে ধরেছে পল্লবীর পরিবার,

১. কেন পল্লবীর সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঢোকেন সাগ্নিক? ২. কেন পল্লবীর ফোন থেকেই পল্লবীর পরিবারকে খবর দেন? ৩. পল্লবীর মৃতদেহের শরীরে কালশিটে ৪. পল্লবীর কাছ থেকে সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাগ্নিক দাবি করেছেন, পল্লবী অবসাদে ভুগছিলেন। কাজ পাচ্ছিলেন না, দেনায় ডুবে গিয়েছিলেন। পল্লবীর দিদি পৌলমী দে সেই অভিযোগ উড়িয়ে ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, “ওর কোনও আর্থিক সমস্যা ছিল না। কোনও দেনাও ছিল না। কাজ পাচ্ছিল না বলে ওর কোনও সমস্যা ছিল এমনও একেবারেই নয়।”

ইতিমধ্যেই পল্লবীর পরিবার বেশ কিছু দাবি করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি কলসেন্টারে ১৮-১৯ হাজার টাকার মাস মাইনের চাকরি করতেন সাগ্নিক। তদন্তে উঠে এসেছে পল্লবীর সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ছিল সাগ্নিকের। ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার সিংহভাগ টাকাই দিয়েছিলেন পল্লবী। দু’জনের নামে ১৫ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছিল বলে অভিযোগ। নিউটাউনে ৫০ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট বুক করেছিলেন পল্লবী। সেই ফ্ল্যাট বুক করা হয়েছিল সাগ্নিকের বাবার নামে বলেও অভিযোগ।

শুধু বৈষয়িক জটিলতাই নয়, সম্পর্কের কানাগলিতেও মাঝেমধ্যে পল্লবী খেই হারাতেন এমনই দাবি পল্লবীর বাবার। তিনিই জানিয়েছেন, মেয়ের সঙ্গে লিভ-ইন করার আগেই অন্য একটি মেয়েকে আইনি মতে বিয়ে করেন সাগ্নিক। সেই রেজিস্ট্রি ম্যারেজের কথা লুকিয়েই পল্লবীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন বলে নিহত অভিনেত্রীর বাবা দাবি করেছেন। শুধু তাই নয়, পল্লবী শুটিংয়ে বাইরে থাকলে অন্য এক মেয়েকে নিয়ে সাগ্নিক ফ্ল্যাটে যেতেন বলেও অভিযোগ। তিনি আবার পল্লবীরও পরিচিত। সাগ্নিকের জীবনের এই দুই নারীর কথা পল্লবী পরে জানতে পারেন বলে অভিযোগ। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝামেলাও হত। সাগ্নিক গায়ে হাতও তুলতেন। এই সমস্ত অভিযোগকে সামনে রেখে এবার সরাসরি মেয়েকে খুনের অভিযোগ তুলেছেন টলিপাড়ার পরিচিত মুখ পল্লবী দে’র পরিবার।