কলকাতা: পঞ্চায়েতের ভোট গণনা (Panchayat Election Counting) পর্বের আগে বিস্ফোরক অভিযোগ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। আজ বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুর দাবি, ‘ভোট গণনা কর্মীদের ট্রেনিংয়ের সময় কোনও কোনও বিডিও বলেছেন, ব্যালট পেপারের পিছনে প্রিসাইডিং অফিসারের সই না থাকলেও গুনে দেওয়ার জন্য।’ জলপাইগুড়ি জেলা থেকেও এমন অভিযোগ উঠে এসেছিল। তা নিয়ে বিতর্কও ছড়িয়েছে অনেক। আর এবার এসবের মধ্যেই এবার নতুন করে নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ওই নির্দেশিকায় পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত আইন, ২০০৬-এর কথা আবারও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চায়েত আইনের একটি অংশ উদ্ধৃত করে কমিশন লিখে দিয়েছে, প্রত্যেক ব্যালট পেপার ভোটারদের দেওয়ার আগে ব্যালট পেপারের পিছনের দিকে জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন অফিসারের নির্দেশ মতো স্ট্যাম্প ও প্রিসাইডিং অফিসারের পুরো সই থাকতে হবে। কমিশনের নির্দেশ, প্রত্যেকটি ব্যালট পেপার খতিয়ে দেখতে হবে গণনার সময়ে। যদি কোনও ব্যালট পেপারের পিছনের দিকে প্রিসাইডিং অফিসারের সই না থাকে, তাহলে তা বৈধ ভোট বলে গণ্য হবে না। এই ধরনের ব্যালট পেপারগুলি ভোট গণনার সময়ে বাতিল করতে হবে।
উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি জেলায় যে ধরনের অভিযোগ উঠে এসেছিল, সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানকার জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘কমিশনের স্থির করে দেওয়া গাইডলাইনের বাইরে কেউ কিছু বলেছেন, এমন প্রমাণ তাঁর কাছে নেই। রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশিকা জারি করেছে, সেটা সকলের কাছে পাঠানো হয়েছে। ফলে এই নিয়ে কারও মনে কোনও সন্দেহ থাকার কারণ নেই।’