কলকাতা: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) ঘিরে যেভাবে রক্ত ঝরেছে, যেভাবে খুনের অভিযোগ উঠে এসেছে, সেটি গণহত্যার সামিল বলে মনে করছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এখনও পর্যন্ত যে মৃত্যু হয়েছে, তার জন্য রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই দায়ি করছেন তিনি। আজ রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েতের পুনর্নির্বাচন হচ্ছে বিভিন্ন বুথে। মূলত যেসব জায়গায় অশান্তি, ছাপ্পার অভিযোগ এসেছে… সেই সব জায়গায় পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু শুভেন্দুর দাবি, তাঁরা যে ৬ হাজার বুথে ভোট লুঠ হয়েছে বলে চিহ্নিত করে কমিশনকে পাঠিয়েছিলেন, সেই ৬ হাজার বুথের একটিও পুনর্নির্বাচনের তালিকায় নেই।
শুধু তাই নয়, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধেও একরাশ অভিযোগ রয়েছে বিরোধী দলনেতার। তাঁর দাবি, গতকালের ভোটে যেসব বুথে বিজেপির এজেন্টরা ঢুকেছিলেন, তাঁদের ভোট শুরুর ঘণ্টা খানেক পর আর থাকতে দেওয়া হয়নি। বলছেন, ‘যেখানে শাসকের গুন্ডারা বের করতে পারেনি, সেখানে পুলিশ বের করেছে, যেখানে পুলিশ বের করতে পারেনি… সেখানে বিডিও বিজেপির পোলিং এজেন্টকে মেরে বের করেছেন।’ পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হাইকোর্টের যে নির্দেশ ছিল, তাও কার্যত বুড়ো আঙুল দেখানো হয়েছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার।
গতকাল অনেক জায়গাতেই ব্যালট বাক্স জলে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও আবার ব্যালট বাক্সের ভিতরে জল ঢেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যাঁরা এমন কাজ করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার ব্যাখ্যা, ‘বাইরের লোকেরা ভোট লুঠ করতে এসেছিল। ওরা চলে যাওয়ার পরে গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে ছাপ মারা ভুয়ো ব্যালটের উপরে জল ঢেলে দিয়েছেন।’ শুভেন্দুর কথায়, এই কাজের ফলে নির্বাচন কমিশন বাধ্য হয়েছে ওই জায়গাগুলিতে পুনর্নির্বাচন করার জন্য।
পুনর্নির্বাচনের দাবিতে আগামিকাল ফের আদালতে যেতে চলেছে বিজেপি, সেই কথাও জানালেন বিরোধী দলনেতা। বললেন, ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটারদের ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে। তাঁদের আর্থিক সাহায্য দিতে হবে।’ পঞ্চায়েতের সময়ে এত অস্ত্র কীভাবে এল, অস্ত্রের টাকা কে দিল, তা নিয়ে এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি। পাশাপাশি এতগুলি মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও তুলছেন তিনি।