কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে গুচ্ছ গুচ্ছ মামলা আসছে কলকাতা হাইকোর্টে। শাসক-বিরোধী সব পক্ষেরই মামলা রয়েছে। যেমন নদিয়ার নাকাশিপাড়ার দোগাছিয়া এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রসনারা বিবি দ্বারস্থ হয়েছেন হাইকোর্টের। তাঁর অভিযোগ, ভোট গণনার সময়ে ১৫২টি ব্যালটে প্রিসাইডিং অফিসারের কোনও সই বা স্ট্যাম্প ছিল না। তাই ওই ব্যালট পেপারগুলি বাতিল করার দাবি তুলে আদালতে গিয়েছেন তিনি। মামলাটি উঠেছে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চে।
নদিয়ার নাকাশিপাড়ার ওই মামলায় অভিযোগ শুনে কার্যত বিস্মিত বিচারপতি সিনহা। কারণ, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, প্রত্যেক ব্যালট পেপারের পিছনে যেন সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারের সই ও সিল থাকে। অন্যথায়, ওই ভোট বৈধ বলে গণ্য হবে না। সেক্ষেত্রে, প্রিসাইডিং অফিসারের সই ছাড়া ব্যালট পেপার কীভাবে বাক্সে ঢুল? তা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি অমৃতা সিনহার।
এই ধরনের অভিযোগ ‘সিরিয়াস বিষয়’ বলেই মনে করছেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। কেন এমন অভিযোগ উঠল, সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
উল্লেখ্য, নাকাশিপাড়ার দোগাছিয়া এলাকার ওই বুথে তৃণমূল প্রার্থী রসনারা বিবি পরাজিত হয়েছেন। ১৮ ভোটে তাঁকে হারিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী। এমন অবস্থায় তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, গণনার সময়ে ১৫২টি ব্যালট পেপারের পিছনে প্রিসাইডিং অফিসারের সই বা স্ট্যাম্প ছিল না। তাই ওই ব্যালট পেপারগুলি বাতিলের দাবি তুলেছেন তিনি। এখন দেখার, রিটার্নিং অফিসার ও কমিশনের ব্যাখ্যার পর এই মামলা কোন দিকে মোড় নেয়।