কলকাতা: “মনোনয়ন সবে শুরু হয়েছে। দু’দিন যাক। মনে হয় সময় বাড়াতে হবে। দেখব। আইনে সম্ভব হলে আমরা সময় বাড়াব।” আশ্বাস দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের পর মনোনয়নের সময়সীমা কয়েকদিন বাড়ানো হতে পারে। আইনত মনোনয়ন কত দিন হবে, তার কোনও নিয়ম নেই। ফলে দিন বাড়ানো হলে সমস্যা নেই। তবে সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। বৃহস্পতিবারই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে। নির্বাচন করানোর ক্ষেত্রে পুলিশের ওপর আস্থা রেখেছে রাজ্য। তারপরই শুক্রবার মুখ্যসচিব, ডিজির বৈঠকে বসেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। বৈঠকে পুলিশ বাড়ানোর আলোচনা করেন। মনোনয়নে কোনও সমস্যা যাতে না হয়, তার জন্য পুলিশ বাড়ানোর জন্য বলেন কমিশনার। রাজীব সিনহা বলেন, “মানুষের আস্থা বাড়ানো হোক। শুধু শান্তিপূর্ণ নয়, স্বচ্ছ করুন নির্বাচন।” একই সঙ্গে জেলা পরিষদের মনোনয়ন এসডিও অফিস, এবং গ্রাম পঞ্চায়েত, বিডিও অফিস, গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতিতে নোটিস দিতে পারে কমিশন।
শুক্রবার থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। ১৫ জুন শেষ তারিখ। ৭ জুন স্ক্রুটিনির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে ২০ জুন পর্যন্ত। কমিশন থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, মনোনয়ন যেখানে জমা নেওয়া হবে, সেখানে ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। যদিও এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিন থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর আসতে শুরু করে।
শুক্রবার পঞ্চায়েত নির্বাচন মামলা সংক্রান্ত একটি মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে মনোনয়ন থেকে ভোটগ্রহণ পুরো সময়টি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে করা হচ্ছে। মনোনয়নে সময় খুবই কম দেওয়া হয়েছে। ভোটের নির্ঘণ্ট নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা উচিত।’’ মহকুমাশাসক, জেলাশাসক বা কমিশনের অফিসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় কি না দেখতে হবে।