কলকাতা: মনোনয়নের প্রথম দিনই রাজ্যের একাধিক প্রান্ত থেকে এসেছে অশান্তির খবর। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেও অশান্তি। এবার মনোনয়নে অশান্তির রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। ডোমকল,খড়গ্রাম-সহ একাধিক জায়গায় গন্ডগোলের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সে সবের ভিত্তিতে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। কেন মনোনয়ন জমা দেওয়া যাচ্ছে না, জানতে চায় কমিশন। বোমা ও অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারেও জেলাগুলিকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরই রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে বোমা উদ্ধারের খবর মেলে। শনিবারও ফুরফুরাশরিফ, মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থেকে বোমা উদ্ধার হয়। তবে স্পর্শকাতর কোন জেলা কিংবা এলাকা, তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।
মনোনয়নের প্রথম দিনেই দিকে দিকে অশান্তি। কোথাও তৃণমূল বনাম তৃণমূল। কোথাও বা তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি, সিপিএম, আইএসএফের সমর্থকরা। ক্যানিংয়ে বিডিও অফিসের সামনেই চড়াও হওয়ার অভিযোগ ওঠে। ভরতপুরে আবার বিডিও-র সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়েছিলেন শাসক দলের দুই নেতা। কোতুলপুরে তো আবার বিজেপি বিধায়ককেই তাড়া, গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার ছবি প্রকাশ্যে আসে। নন্দীগ্রামে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই ফের অশান্তি। কাটোয়ায় মনোনয়ন দিতে না পেরে কেঁদেই ফেলেন বিজেপি প্রার্থী।
কমিশন আরও বেশি উদ্বিগ্ন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রথম বলি নিয়ে। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শাসকদলের। বিষয়টি ইস্যু করে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে বিষয়টি জানিয়েছেন। টুইট করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ও মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করেছেন তিনি।
মনোনয়নের দ্বিতীয় দিনেই এবার অশান্তির রিপোর্ট তলব করল কমিশন। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে আদৌ কমিশন কী পদক্ষেপ করে, সেটাই দেখার।