কলকাতা: আগামী সপ্তাহে গণেশ পুজো। সে পুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই বিশ্বকর্মা পুজো। এ বছর সেপ্টেম্বরের শেষেই শারদোৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ে যাবে। ৩০ সেপ্টেম্বর এবার মহাপঞ্চমী। সেই বাদ্যির বোল হালকা হতে না হতেই রাজ্যজুড়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বাজার পালা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। শোনা যাচ্ছিল, ২০২২ সালের ডিসেম্বরেই হয়ত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এ বছর নয়, পরের বছরই এই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হবে। সেক্ষেত্রে একেবারে প্রথম দিকেই ভোট হতে পারে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আগামী বছর জানুয়ারির শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারিতে এ রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, কোনও কোনও জায়গা থেকে ডিসেম্বরে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার কথা বলা হলেও, তা সম্ভব নয় বলেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন মারফৎ জানা যাচ্ছে। কারণ বেশ কিছু আইনগত সমস্যা রয়েছে। আসনের পুনর্বিন্যাস, সংরক্ষণ সংক্রান্ত বেশ কিছু কাজ এখনও চলছে। তা শেষ হতে হতে সেপ্টেম্বর মাস লেগে যাবে বলেই সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে। তবে ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
হিসাবমতো আগামী বছর এপ্রিল-মে মাসে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলাগুলিকে আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে আসন সংরক্ষণের কাজ। তার পর আবার খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হবে। তা ছাড়া নিয়ম অনুযায়ী আসন পুনর্বিন্যাসের ন্যূনতম ৭৫ দিন এবং সংরক্ষণের ৯০ দিন পর নির্বাচন করা যেতে পারে। ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে হতে ডিসেম্বর হয়ে যাবে। এ ছাড়া আরও অতিরিক্ত কিছু সময় দরকার। তাই সে সময় ভোট করানো কোনওভাবেই সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মূলত পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণ নিয়ে জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের চিঠি দেন কমিশন সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য।