ED: বেসরকারি ল’কলেজ, ফার্মাসি কলেজেও ‘অপা’র টাকা? পার্থ-অর্পিতা মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির

Recruitment Scam: এদিন বিচারক প্রশ্ন করেন, 'কেন এতদিনের রিমান্ড? কেন ৭ দিন বা ১৫ দিন নয়? কতবার জেলে গিয়ে জেরা করেছে ইডি? সেখানে জেরায় কি নতুন তথ্য উঠে এসেছে?

ED: বেসরকারি ল'কলেজ, ফার্মাসি কলেজেও 'অপা'র টাকা? পার্থ-অর্পিতা মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2022 | 6:24 PM

কলকাতা: অপা-মামলায় আদালতে নতুন তথ্য পেশ ইডির। এদিন আদালতে ইডির আইনজীবীরা জানান, বেশ কিছু বেসরকারি ল’কলেজ ও ফার্মাসি কলেজ তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর সেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে অর্থের বিনিময়ে। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে বুধবার ফের পিএমএলএ আদালতে (PMLA Court) পেশ করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee)। এদিনও ভার্চুয়ালি পেশ করা হয় তাঁদের। কৌশলগতভাবে এদিন পার্থর আইনজীবীর তরফে জামিনের আবেদনই করা হয়নি। পার্থর হয়ে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী সেলিম রহমান ও সুকন্যা ভট্টাচার্য। তাঁরা বলেন, ‘কোর্ট অর্ডার অনুযায়ী আমাদের উদ্ধার হওয়া নথির স্ক্যান কপির একটি সিডি দেওয়া হয়েছে। সব নথির স্ক্যান কপি দেওয়া হয়নি।’ তাঁরা দাবি করেন, এই গ্রেফতারি অনৈতিক। তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। একইসঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী এদিন বিচারকের সামনে জানান, চার্জশিট জমা হওয়ার অর্থ এই নয় যে তিনি এই অপরাধে অপরাধী। তাঁরা আর্জি জানান, ইডির আবেদন খারিজ করা হোক। যদিও এদিনও ময়দানে তেড়েফুঁড়েই নামে ইডি। ইডির তরফে জানানো হয়, একাধিক বেসরকারি কলেজের অনুমোদনে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। আরও অনেক টাকা লুকানো রয়েছে।

অন্যদিকে এদিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবীও জামিনের আবেদন জানাননি। অর্পিতার আইনজীবী নীলাদ্রি ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরাও জামিন চাইছি না। কিন্তু ইডি আবার জেলে গিয়ে জেরা করতে চাইছে। অথচ কেস ডায়েরিতে কোথাও কি লিখেছে জেলে গিয়ে জেরায় কী মিলেছে? আমার আবেদন যদি ফের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়, তা যেন অল্পদিনের জন্য হয়।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, অর্পিতার মা তাঁর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে চান। যদি আদালত তার নির্দেশ দেয়।

এদিন বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘কেন এতদিনের রিমান্ড? কেন ৭ দিন বা ১৫ দিন নয়? কতবার জেলে গিয়ে জেরা করেছে ইডি? সেখানে জেরায় কি নতুন তথ্য উঠে এসেছে?’ বিচারক জানতে চান, নতুন কী তথ্য পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সেখানেই ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি, ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিজিৎ ভদ্র জানান, ‘আরও অনেকের কাছে টাকা লুকানো আছে। সেগুলি খোঁজার চেষ্টা চলছে। এখানে টাকা লুকানো আছে বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাকাউন্টে। সেগুলির খোঁজ চলছে। টাকা উদ্ধার হয়েছে। সেই উদ্ধারের কাজ এখনও শেষ হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছি এই মামলায়। কিছু বেসরকারি ল’কলেজ ও ফার্মাসি কলেজ তৈরিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল অর্থের বিনিময়ে।’ পার্থ-অর্পিতাকে এদিন ফের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।