Loan Case: বিলিতি মদ ব্যবসায়ীর ‘ঋণ’, না মেটানোর অভিযোগে বাড়ি সিল করল ব্যাঙ্ক

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 14, 2022 | 5:33 PM

Durgapur News: ওই ব্যাঙ্ক ব্যবসায়ী জানান, প্রায় ৫ বছর আগে তাঁর ফরেন লিকারের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ চলে যায়।

Loan Case: বিলিতি মদ ব্যবসায়ীর ঋণ, না মেটানোর অভিযোগে বাড়ি সিল করল ব্যাঙ্ক
ব্যবসায়ীর বাড়ি সিল করল ব্যাঙ্ক। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

দুর্গাপুর: ঋণের টাকা ফেরত দিতে না পারার অভিযোগে এক লিকার ব্যবসায়ীর বাড়ি সিল করে দিল ব্যাঙ্ক। দুর্গাপুর নিউটাউনশিপ থানা (Durgapur NewTownship PS) এলাকার ঘটনা। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দুর্গাপুরের মহালক্ষ্মী পার্ক এলাকার ওই মদ ব্যবসায়ী। শুক্রবার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের আসানসোল শাখার কর্মীরা হাজির হন অমরনাথ সাহা নামে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে। অভিযোগ, বাড়ি সিল করতে গিয়ে প্রথম দিকে বাধার মুখে পড়তে হয় ব্যাঙ্ক কর্মীদের। যদিও পরে তা সম্ভব হয়।

শুক্রবার ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা পুলিশ ও একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে বিদেশি মদ ব্যবসায়ী অমরনাথ সাহার বাড়িতে যান। প্রথমে প্রশাসনিক কাজকর্ম শুরু হয়। অমরনাথের বিরুদ্ধে প্রায় ৮ কোটি টাকার ঋণ শোধ না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ব্যাঙ্কের অভিযোগ, বারবার নোটিস পাঠানো সত্ত্বেও ঋণ শোধ করছিলেন না ওই ব্যবসায়ী।

এরপরই শুক্রবার বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ব্যাঙ্কের দুর্গাপুর ও আসানসোল শাখার পদস্থ কর্তারা দুর্গাপুরের ফুলঝোড় মোড় সংলগ্ন মহালক্ষ্মী পার্কের সাহা বাড়িতে যান। সিল করে দেওয়া হয় বাড়ি। অভিযোগ ওঠে, প্রথমদিকে ব্যাঙ্কের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টাও করেন ব্যবসায়ীর বাড়ির লোকেরা। ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, ব্যবসায়িক কাজের জন্য মহালক্ষ্মী পার্কের ওই বাড়ি মটগেজ রেখেছিলেন ব্যবসায়ী।

ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাছে আর কোনও অন্য রাস্তা ছিল না। বাধ্য হয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়েই এই কাজ করেছে তারা। এক মাসের মধ্যে ব্যাঙ্ক এই বাড়িটি বিক্রি করে ঋণের টাকা আদায় করবে বলেও সূত্রের খবর। তবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে যদি ওই ব্যবসায়ী টাকা ফিরিয়ে দেন, তাহলে বাড়িটিও ফেরত পেয়ে যাবেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী অমরনাথ সাহা বলেন, “ব্যাঙ্ককে জিজ্ঞাসা করুন আমার সঙ্গে কী করেছে। আমার ফরেন লিকারের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ ছিল। আমদানি রফতানি করতাম গোটা বাংলায়। ২০১৭ সালে তা বাতিল হয়ে যায়। এরপর আমি ব্যাঙ্কে ঘুরেছি। ব্যাঙ্কের সিস্টেম অনুযায়ী চলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ব্যাঙ্ক তা না করে এখন পজিশন নিতে চলে এল।”

অন্যদিকে ব্যাঙ্ক আধিকারিক অমরেশকুমার বৈশাখিয়া বলেন, “ঋণ নিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। ঋণের টাকা ফেরত দেননি। তাই পজিশন নিতে এসেছি। এর আগে আমরা নোটিসও দিয়েছি। তাতে কাজ হয়নি। তাই আজ আমরা এসেছি।”

Next Article