কলকাতা: প্রাথমিক পড়ুয়াদের জন্যও স্কুল খুলতে চাইছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee) নিজে সেই ভাবনাচিন্তার কথা জানিয়েছেন। ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে রোটেশন মেনে ক্লাস করানো যায় কি না সে বিষয়ে স্কুলগুলির সঙ্গে কথা বলার বিষয়েও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। কোভিডের নতুন কোনও স্ট্রেন মাথাচাড়া না দিলে, এবার সকলেই যে স্কুলে যাবে তার ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে স্পষ্ট। যদিও সকলের স্কুল খোলা নিয়ে লাগাতার আন্দোলন করে যাওয়া সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই জানিয়েছে, অনেক আগেই এটা করা দরকার ছিল। তাদের দাবি, তারা যে পথে স্কুল খোলার দাবি জানিয়েছিল, ঘুরে সেই পথেই হাঁটার কথা বলছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে বিজেপির বক্তব্য, এভাবে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বিষয়ে এসএফআইয়ে রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “আজও আমরা এই দাবি নিয়েই কলেজ স্ট্রিটে আমরা সভা করেছি। এটা চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ের মতো। যা যা কথা উনি (মুখ্যমন্ত্রী) বলেছেন, ৫০ শতাংশ উপস্থিতি, এক দিন অন্তর একদিন ক্লাস, স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খোলা সবই তো আমরা এতদিন ধরে বলে এসেছি। এতদিন সরকারের টনক নড়েনি।”
সৃজনের দাবি, “পাড়ায় শিক্ষালয়ে প্রথম কয়েকদিন যে বিশৃঙ্খলা দেখা গিয়েছে, নানা প্রশ্ন উঠেছে তাতে বুঝতে পেরেছেন যে একটা বেশিদিন চলবে না। তাই নতুন করে সমস্ত ক্লাস খোলার কথা বলছেন। উনি বলেছেন ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। আমরা বলছি, দ্রুত সার্কুলার এনে প্রথম শ্রেণি থেকে ক্লাস সেভেন খুলুন। সরকারি ব্যয় বরাদ্দ বাড়ান। মিড-ডে মিল থেকে শিক্ষক নিয়োগ, পরিকাঠামোর উন্নতি সমস্ত দরকার।”
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার বক্তব্য, “ঠেলার চোটে এখন সরকারের হুঁশ ফিরেছে। এতদিন অনড় ছিল স্কুলই খুলব না। তার পরে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে খাওয়ালে খায় যেমন, তেমন কিছুটা খেয়েছে। এখন বাকিটা। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যে ছেলেখেলা মুখ্যমন্ত্রী করছেন, স্বাভাবিকভাবে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাটাই শেষ হয়ে গেল। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্ধকারে রেখে যেভাবে গায়ের জোরে যখন খুশি স্কুল খুলছেন, স্কুল বন্ধ করছেন। এটাই ওনার নীতি।”
চিকিৎসক সুমন পোদ্দার সরকারের এই ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তাঁরও মত, আরও আগে স্কুল খোলা দরকার ছিল। যত তাড়াতাড়ি ভাবনাকে বাস্তবায়িত করা হবে, ততই মঙ্গল বলে জানান তিনি। সুমন পোদ্দারের কথায়, “আমরা চিকিৎসাশাস্ত্রে দেখছি, কোভিড এখন অনেকটাই মৃদু হয়ে গিয়েছে। তাই বলে কি সমস্যা হচ্ছে না? মানুষ মারা যাচ্ছেন না? যাচ্ছেন! কিন্তু সেটার তুল্যমূল্য বিচার করলে যা দেখা যাবে, তাতে শিক্ষাকে আর অন্ধকারে রাখা ঠিক হবে না।”
সরকারি স্কুল শিক্ষক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, “প্রি প্রাইমারি থেকে সপ্তম শ্রেণি সকলকেই স্কুলে আনতে হবে। যদি মনে হয় সব বাচ্চাকে একদিনে আনা হবে না, তা হলে সপ্তাহে তিনদিন বা চারদিন তাদের ভেঙে আনতে পারি। একটা দু’টো সপ্তাহ দেখে নিয়ে এরপর পুরোদমে ক্লাস শুরু করে দেওয়া দরকার। ২০২০’র মার্চ মাসের আগে থেকে যেভাবে পঠনপাঠন চলত, সেই ছবি ফিরিয়ে আনতে হবে।”
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্কুলগুলি চালু হয়েছে। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির জন্য পাড়ায় শিক্ষালয় চলছে। কোভিডের বিপদ না থাকলে ছোটদের স্কুলও খোলা হবে। অন্তত ছোট ক্লাস যেগুলো ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে ক্লাস করানো যায় কি না স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখতে হবে। একদিন অন্তর একদিন স্কুলে আসবে সেক্ষেত্রে। এভাবে হলে প্রাথমিকের ক্লাসগুলো অন্তত চলতে পারে।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
কলকাতা: প্রাথমিক পড়ুয়াদের জন্যও স্কুল খুলতে চাইছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee) নিজে সেই ভাবনাচিন্তার কথা জানিয়েছেন। ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে রোটেশন মেনে ক্লাস করানো যায় কি না সে বিষয়ে স্কুলগুলির সঙ্গে কথা বলার বিষয়েও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। কোভিডের নতুন কোনও স্ট্রেন মাথাচাড়া না দিলে, এবার সকলেই যে স্কুলে যাবে তার ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে স্পষ্ট। যদিও সকলের স্কুল খোলা নিয়ে লাগাতার আন্দোলন করে যাওয়া সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই জানিয়েছে, অনেক আগেই এটা করা দরকার ছিল। তাদের দাবি, তারা যে পথে স্কুল খোলার দাবি জানিয়েছিল, ঘুরে সেই পথেই হাঁটার কথা বলছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে বিজেপির বক্তব্য, এভাবে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বিষয়ে এসএফআইয়ে রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “আজও আমরা এই দাবি নিয়েই কলেজ স্ট্রিটে আমরা সভা করেছি। এটা চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ের মতো। যা যা কথা উনি (মুখ্যমন্ত্রী) বলেছেন, ৫০ শতাংশ উপস্থিতি, এক দিন অন্তর একদিন ক্লাস, স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খোলা সবই তো আমরা এতদিন ধরে বলে এসেছি। এতদিন সরকারের টনক নড়েনি।”
সৃজনের দাবি, “পাড়ায় শিক্ষালয়ে প্রথম কয়েকদিন যে বিশৃঙ্খলা দেখা গিয়েছে, নানা প্রশ্ন উঠেছে তাতে বুঝতে পেরেছেন যে একটা বেশিদিন চলবে না। তাই নতুন করে সমস্ত ক্লাস খোলার কথা বলছেন। উনি বলেছেন ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। আমরা বলছি, দ্রুত সার্কুলার এনে প্রথম শ্রেণি থেকে ক্লাস সেভেন খুলুন। সরকারি ব্যয় বরাদ্দ বাড়ান। মিড-ডে মিল থেকে শিক্ষক নিয়োগ, পরিকাঠামোর উন্নতি সমস্ত দরকার।”
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার বক্তব্য, “ঠেলার চোটে এখন সরকারের হুঁশ ফিরেছে। এতদিন অনড় ছিল স্কুলই খুলব না। তার পরে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে খাওয়ালে খায় যেমন, তেমন কিছুটা খেয়েছে। এখন বাকিটা। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যে ছেলেখেলা মুখ্যমন্ত্রী করছেন, স্বাভাবিকভাবে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাটাই শেষ হয়ে গেল। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্ধকারে রেখে যেভাবে গায়ের জোরে যখন খুশি স্কুল খুলছেন, স্কুল বন্ধ করছেন। এটাই ওনার নীতি।”
চিকিৎসক সুমন পোদ্দার সরকারের এই ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তাঁরও মত, আরও আগে স্কুল খোলা দরকার ছিল। যত তাড়াতাড়ি ভাবনাকে বাস্তবায়িত করা হবে, ততই মঙ্গল বলে জানান তিনি। সুমন পোদ্দারের কথায়, “আমরা চিকিৎসাশাস্ত্রে দেখছি, কোভিড এখন অনেকটাই মৃদু হয়ে গিয়েছে। তাই বলে কি সমস্যা হচ্ছে না? মানুষ মারা যাচ্ছেন না? যাচ্ছেন! কিন্তু সেটার তুল্যমূল্য বিচার করলে যা দেখা যাবে, তাতে শিক্ষাকে আর অন্ধকারে রাখা ঠিক হবে না।”
সরকারি স্কুল শিক্ষক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, “প্রি প্রাইমারি থেকে সপ্তম শ্রেণি সকলকেই স্কুলে আনতে হবে। যদি মনে হয় সব বাচ্চাকে একদিনে আনা হবে না, তা হলে সপ্তাহে তিনদিন বা চারদিন তাদের ভেঙে আনতে পারি। একটা দু’টো সপ্তাহ দেখে নিয়ে এরপর পুরোদমে ক্লাস শুরু করে দেওয়া দরকার। ২০২০’র মার্চ মাসের আগে থেকে যেভাবে পঠনপাঠন চলত, সেই ছবি ফিরিয়ে আনতে হবে।”
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্কুলগুলি চালু হয়েছে। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির জন্য পাড়ায় শিক্ষালয় চলছে। কোভিডের বিপদ না থাকলে ছোটদের স্কুলও খোলা হবে। অন্তত ছোট ক্লাস যেগুলো ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে ক্লাস করানো যায় কি না স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখতে হবে। একদিন অন্তর একদিন স্কুলে আসবে সেক্ষেত্রে। এভাবে হলে প্রাথমিকের ক্লাসগুলো অন্তত চলতে পারে।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা