কলকাতা: রাজ্যে আরও নতুন তিনটি ইডি আদালত গঠনের অনুমোদন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যে এতদিন পর্যন্ত একটিমাত্র পিএমএলএ আদালত ছিল। চিটফান্ড-সহ একাধিক আর্থিক দুর্নীতি মামলা, চাকরি নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলা সেই আদালতের বিচারাধীন ছিল। কিন্তু মামলার পর মামলা- ফাইলের পাহাড় জমছিল আদালতে। ফলে একাধিক সময়েই দেখা যাচ্ছিল, মামলার বিচারপ্রক্রিয়া অত্যন্ত দেরি হচ্ছে। একই সঙ্গে নতুন অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও তাঁদের আদালতে পেশ করতেও অনেকটা দেরি হচ্ছিল। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল ইডি আধিকারিকদের।
এবার রাজ্যে আরও তিনটি পিএমএলএ আদালতের অনুমোদন মেলায় আইনজীবীরাও মনে করছেন, এতে বিচারপ্রক্রিয়া যেমন দ্রুত শেষ হবে, তেমনই অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করতেও সুবিধা হবে। সূত্রের খবর, দ্রুত আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলার দ্রুত গুটিয়ে আনতে চাইছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র হাতেও আসতে চলেছে বেশ কিছু নতুন মামলা। বিচারপ্রক্রিয়া যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয়, তার জন্য পিএমএলএ আদালতের সংখ্যা বাড়ানোর আর্জি আগেই জানিয়েছিল ইডি। এবার তার অনুমোদন মিলল।
উল্লেখ্য, আর্থিক দুর্নীতি দমন আইন বা প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA) ২০০২ সালে আনা হয়। ২০০৫ সালে ১ জুলাই তা কার্যকর হয়। পরবর্তীকালে ২০১২ সালে ১৭ ডিসেম্বর কিছু সংশোধনী আনা হয়। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়। রাজ্যে গত কয়েক বছরে চিটফান্ড ও শিক্ষায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনে ইডি একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে, একাধিক ব্যক্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এবার আদালতের সংখ্যা বাড়ায় দ্রুত, সেই মামলাগুলির বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছে। ইডি আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র জানান, আদালতের সংখ্যা বাড়লে বিচারপ্রক্রিয়া তরান্বিত হবে। একটি আদালতের ওপর যে চাপ ছিল, সেটাও কমে যাবে।