কলকাতা: পাঁচ বছর পর রবিবার এ রাজ্যে প্রাথমিকের টেট (Primary TET)। নিঃসন্দেহে সুষ্ঠুভাবে এই পরীক্ষা পরিচালনা করা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে এই মুহূর্তে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বারবারই পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, পর্ষদ স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগে বদ্ধপরিকর। তার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে। সূত্রের খবর, প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে বদ্ধ পরিকর পর্ষদ। ইতিমধ্যেই পরীক্ষার বিশদ সময়সূচি ও গাইডলাইন প্রকাশ করেছে পর্ষদ। বেলা ১২টা থেকে শুরু হবে পরীক্ষা। তবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা যাবে। সকাল ১১টার পর আর কাউকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সকাল সাড়ে ১১টায় অ্যাডমিট কার্ড এবং পরিচয়পত্র দেখবেন পরিদর্শক। পরীক্ষার্থীরা টেস্ট বুকলেট হাতে পাবেন পৌনে ১২টায়। পরীক্ষা শেষ বেলা আড়াইটেয়।
ইতিমধ্যেই ১৮ পাতার নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনওরকম ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার মুখে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা থাকবে, যাতে একজনের হয়ে অন্যজন পরীক্ষা না দিতে পারেন। থাকবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষার্থীদের চেক করে তারপর পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকানো হবে। সকাল ১১টার আগে সেন্টার ইনচার্জের হাতে প্রশ্ন যাবে না। ১১টার আগে পর্যন্ত প্রশ্নপত্র থাকবে থানায়। ১১টা ৪৫ মিনিটের আগে প্রশ্নপত্রের সিল খোলা যাবে না।
ব্যবহার করা যাবে না মোবাইল ফোন। কেউ যাতে লুকিয়ে মোবাইল নিয়ে ঢুকে না পড়েন, তার জন্য থাকবে মেটাল ডিটেক্টর। পরীক্ষার্থীরা তো ফোন সঙ্গে রাখবেনই না, এমনকী সেন্টার ইনচার্জ, পরিদর্শকের মোবাইল ফোনও জমা থাকবে। পরীক্ষা হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না কোনও শিক্ষক।
প্রশ্ন ফাঁস যাতে কোনওভাবেই না হয়, তার জন্য ইতিমধ্যেই সেন্টার ইনচার্জদের অতি সতর্ক করা হয়েছে পর্ষদের তরফে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একের পর এক অভিযোগে কার্যত ফালা ফালা পর্ষদ। সেখানে রবিবার এত বড় পরীক্ষা নিঃসন্দেহে পর্ষদের নতুন বোর্ডের কাছে অ্যাসিড টেস্ট। পর্ষদ এবার তাই অতি সতর্ক। শহরের একাধিক স্কুল, যেখানে টেটের সিট পড়েছে, সেখানে শনিবার দেখা গেল সিসিক্যামেরা ইনস্টলেশনের চিত্র। যেমন যাদবপুর বিদ্যাপীঠ। সেখানে বিদ্যাপীঠের নিজস্ব সিসিক্যামেরার পাশাপাশি পর্ষদ থেকেও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা আনা হয়েছে। পর্ষদ সূত্রে খবর, শুধু শহর কলকাতা নয়, শহরতলি, জেলাতেও রয়েছে কড়া নজরদারি।
পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য ইতিমধ্যেই সমস্ত বাস পথে নামানোর নির্দেশ দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। কসবা পরিবহণ অফিসে টেট পরীক্ষার্থীদের যাবতীয় পরিবহণ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে কন্ট্রোল রুমও খোলা হচ্ছে। সেই কন্ট্রোল রুম থেকেই রাজ্যের প্রতিটি কোণের গণপরিবহণ যাতে সচল থাকে, তার নজরদারি করবেন মন্ত্রী।
রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে পরিবহন দফতর এই কন্ট্রোল রুমের নম্বর নিজেদের মধ্যে যুক্ত করে রাখবে। পরিবহন দফতর সূত্রে খবর, মেট্রো এবং পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কন্ট্রোল রুম সম্পর্কে যাবতীয় আলোচনা করা হবে। ট্রেন লাইনে কোনও সমস্যা হলে যাতে সহজে বাস বা অন্যান্য সরকারি গাড়ি পাঠিয়ে টেট পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসা যায়, তার জন্য পূর্ব রেল এবং মেট্রো রেলের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ থাকবে পরিবহণ রুমের কন্ট্রোল রুমে।
কলকাতা: পাঁচ বছর পর রবিবার এ রাজ্যে প্রাথমিকের টেট (Primary TET)। নিঃসন্দেহে সুষ্ঠুভাবে এই পরীক্ষা পরিচালনা করা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে এই মুহূর্তে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বারবারই পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, পর্ষদ স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগে বদ্ধপরিকর। তার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে। সূত্রের খবর, প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে বদ্ধ পরিকর পর্ষদ। ইতিমধ্যেই পরীক্ষার বিশদ সময়সূচি ও গাইডলাইন প্রকাশ করেছে পর্ষদ। বেলা ১২টা থেকে শুরু হবে পরীক্ষা। তবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা যাবে। সকাল ১১টার পর আর কাউকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সকাল সাড়ে ১১টায় অ্যাডমিট কার্ড এবং পরিচয়পত্র দেখবেন পরিদর্শক। পরীক্ষার্থীরা টেস্ট বুকলেট হাতে পাবেন পৌনে ১২টায়। পরীক্ষা শেষ বেলা আড়াইটেয়।
ইতিমধ্যেই ১৮ পাতার নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনওরকম ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার মুখে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা থাকবে, যাতে একজনের হয়ে অন্যজন পরীক্ষা না দিতে পারেন। থাকবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষার্থীদের চেক করে তারপর পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকানো হবে। সকাল ১১টার আগে সেন্টার ইনচার্জের হাতে প্রশ্ন যাবে না। ১১টার আগে পর্যন্ত প্রশ্নপত্র থাকবে থানায়। ১১টা ৪৫ মিনিটের আগে প্রশ্নপত্রের সিল খোলা যাবে না।
ব্যবহার করা যাবে না মোবাইল ফোন। কেউ যাতে লুকিয়ে মোবাইল নিয়ে ঢুকে না পড়েন, তার জন্য থাকবে মেটাল ডিটেক্টর। পরীক্ষার্থীরা তো ফোন সঙ্গে রাখবেনই না, এমনকী সেন্টার ইনচার্জ, পরিদর্শকের মোবাইল ফোনও জমা থাকবে। পরীক্ষা হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না কোনও শিক্ষক।
প্রশ্ন ফাঁস যাতে কোনওভাবেই না হয়, তার জন্য ইতিমধ্যেই সেন্টার ইনচার্জদের অতি সতর্ক করা হয়েছে পর্ষদের তরফে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একের পর এক অভিযোগে কার্যত ফালা ফালা পর্ষদ। সেখানে রবিবার এত বড় পরীক্ষা নিঃসন্দেহে পর্ষদের নতুন বোর্ডের কাছে অ্যাসিড টেস্ট। পর্ষদ এবার তাই অতি সতর্ক। শহরের একাধিক স্কুল, যেখানে টেটের সিট পড়েছে, সেখানে শনিবার দেখা গেল সিসিক্যামেরা ইনস্টলেশনের চিত্র। যেমন যাদবপুর বিদ্যাপীঠ। সেখানে বিদ্যাপীঠের নিজস্ব সিসিক্যামেরার পাশাপাশি পর্ষদ থেকেও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা আনা হয়েছে। পর্ষদ সূত্রে খবর, শুধু শহর কলকাতা নয়, শহরতলি, জেলাতেও রয়েছে কড়া নজরদারি।
পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য ইতিমধ্যেই সমস্ত বাস পথে নামানোর নির্দেশ দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। কসবা পরিবহণ অফিসে টেট পরীক্ষার্থীদের যাবতীয় পরিবহণ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে কন্ট্রোল রুমও খোলা হচ্ছে। সেই কন্ট্রোল রুম থেকেই রাজ্যের প্রতিটি কোণের গণপরিবহণ যাতে সচল থাকে, তার নজরদারি করবেন মন্ত্রী।
রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে পরিবহন দফতর এই কন্ট্রোল রুমের নম্বর নিজেদের মধ্যে যুক্ত করে রাখবে। পরিবহন দফতর সূত্রে খবর, মেট্রো এবং পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কন্ট্রোল রুম সম্পর্কে যাবতীয় আলোচনা করা হবে। ট্রেন লাইনে কোনও সমস্যা হলে যাতে সহজে বাস বা অন্যান্য সরকারি গাড়ি পাঠিয়ে টেট পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসা যায়, তার জন্য পূর্ব রেল এবং মেট্রো রেলের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ থাকবে পরিবহণ রুমের কন্ট্রোল রুমে।