কলকাতা: স্কুল খোলার প্রস্তাব দিয়ে নবান্নে চিঠি দিল শিক্ষা দফতর। সূত্রের খবর, শুক্রবার শিক্ষা দফতরের তরফে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অফলাইন পঠনপাঠন শুরু করার বিষয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, এরপর প্রস্তাবের চিঠি গিয়েছে মুখ্যসচিবের কাছে।
যেহেতু ১৫ বছর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত ছেলে মেয়েদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে, সে ক্ষেত্রে পুনরায় নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলার ক্ষেত্রে স্কুল শিক্ষা দফতরের কোনও সমস্যা নেই বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে বলেই সূত্রের দাবি। যদিও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই চিঠি সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া নবান্নের তরফে মেলেনি।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, “আমরা তো দীর্ঘদিন ধরেই বলছি স্কুলটা এবার খোলা দরকার। সমস্ত কিছু যখন খোলাই রয়েছে, পড়াশোনাটা বন্ধ রাখার কোনও কারণ নেই। আমরা চাই খুব তাড়াতাড়ি স্কুল খোলা হোক। মাথায় রাখতে হবে এই সময় দু’টো ক্লাস টেন ব্যাচ রয়েছে। একটা ব্যাচ যারা এ বছর নবম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতে উঠল। আরেকটা ব্যাচ যারা আর কিছুদিন পর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। তারাও খুব একটা অফলাইনে ক্লাস করার সুযোগ পায়নি। ফলে যখন নবম থেকে দ্বাদশের জন্য নির্দেশিকা তৈরি হবে তখন বিদায়ী দশমকে সেই নির্দেশিকায় সংযুক্ত করা দরকার। তাদেরও পরীক্ষার একেবারে প্রান্তে এসে গ্রুমিংটা দরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যত তাড়াতাড়ি স্কুল খোলা যায় ততই আমাদের সকলের জন্য ভাল। ছাত্র সমাজের জন্য ভাল।”
একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, করোনাকালে পড়ুয়াদের সবরকম মানসিক সমর্থন জোগাতে লাগাতার ওয়েবিনার করবে শিক্ষা দফতর। স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের মনের উপর প্রভাব পড়ছে তা স্বীকার করছে বিকাশ ভবন। এই অবস্থা কাটিয়ে তুলতে চায় শিক্ষা দফতর। যতদিন স্কুল খোলা যাচ্ছে না, ততদিন এই ধরনের পদক্ষেপ করে যাবে বিকাশ ভবন। এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র স্কুল শিক্ষা বিভাগ।
তারা জানিয়েছে, বিশেষ এই ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞদের নির্বাচিত বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলা হবে। যা শিক্ষার্থীদের জন্য পঠনপাঠন সংক্রান্ত বা শেখার সহায়তার জন্য এবং প্রয়োজনীয় মানসিক-সামাজিক সহায়তা প্রসারিত করার জন্য সহায়ক হবে। জুম কলে আয়োজিত এই ওয়েবিনার সিরিজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘উজ্জীবন চর্চা’। ফেসবুক ও ইউটিউব লাইভেও দেখানো হবে।
অন্যদিকে শনিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই তীব্র কটাক্ষ করে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার। তাদের বক্তব্য, শিক্ষা ব্যবস্থার খুলে পড়া মেরুদণ্ড উপহার দেওয়া হবে শিক্ষামন্ত্রীকে। সহজপাঠ, বর্ণপরিচয়ও উপহার দেবে তারা। এসএফআইয়ের দাবি, রাজ্যে মাত্র ১৩ শতাংশ পড়ুয়া অনলাইনে পড়তে পেরেছে। অবিলম্বে স্কুল, কলেজ খোলার দাবি তোলে তারা।
আরও পড়ুন: Fire at Netajinagar: নেতাজিনগরে বাড়িতে আগুন, পুড়ে মৃত্যু বৃদ্ধার
কলকাতা: স্কুল খোলার প্রস্তাব দিয়ে নবান্নে চিঠি দিল শিক্ষা দফতর। সূত্রের খবর, শুক্রবার শিক্ষা দফতরের তরফে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অফলাইন পঠনপাঠন শুরু করার বিষয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, এরপর প্রস্তাবের চিঠি গিয়েছে মুখ্যসচিবের কাছে।
যেহেতু ১৫ বছর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত ছেলে মেয়েদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে, সে ক্ষেত্রে পুনরায় নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলার ক্ষেত্রে স্কুল শিক্ষা দফতরের কোনও সমস্যা নেই বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে বলেই সূত্রের দাবি। যদিও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই চিঠি সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া নবান্নের তরফে মেলেনি।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, “আমরা তো দীর্ঘদিন ধরেই বলছি স্কুলটা এবার খোলা দরকার। সমস্ত কিছু যখন খোলাই রয়েছে, পড়াশোনাটা বন্ধ রাখার কোনও কারণ নেই। আমরা চাই খুব তাড়াতাড়ি স্কুল খোলা হোক। মাথায় রাখতে হবে এই সময় দু’টো ক্লাস টেন ব্যাচ রয়েছে। একটা ব্যাচ যারা এ বছর নবম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতে উঠল। আরেকটা ব্যাচ যারা আর কিছুদিন পর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। তারাও খুব একটা অফলাইনে ক্লাস করার সুযোগ পায়নি। ফলে যখন নবম থেকে দ্বাদশের জন্য নির্দেশিকা তৈরি হবে তখন বিদায়ী দশমকে সেই নির্দেশিকায় সংযুক্ত করা দরকার। তাদেরও পরীক্ষার একেবারে প্রান্তে এসে গ্রুমিংটা দরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যত তাড়াতাড়ি স্কুল খোলা যায় ততই আমাদের সকলের জন্য ভাল। ছাত্র সমাজের জন্য ভাল।”
একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, করোনাকালে পড়ুয়াদের সবরকম মানসিক সমর্থন জোগাতে লাগাতার ওয়েবিনার করবে শিক্ষা দফতর। স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের মনের উপর প্রভাব পড়ছে তা স্বীকার করছে বিকাশ ভবন। এই অবস্থা কাটিয়ে তুলতে চায় শিক্ষা দফতর। যতদিন স্কুল খোলা যাচ্ছে না, ততদিন এই ধরনের পদক্ষেপ করে যাবে বিকাশ ভবন। এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র স্কুল শিক্ষা বিভাগ।
তারা জানিয়েছে, বিশেষ এই ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞদের নির্বাচিত বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলা হবে। যা শিক্ষার্থীদের জন্য পঠনপাঠন সংক্রান্ত বা শেখার সহায়তার জন্য এবং প্রয়োজনীয় মানসিক-সামাজিক সহায়তা প্রসারিত করার জন্য সহায়ক হবে। জুম কলে আয়োজিত এই ওয়েবিনার সিরিজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘উজ্জীবন চর্চা’। ফেসবুক ও ইউটিউব লাইভেও দেখানো হবে।
অন্যদিকে শনিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই তীব্র কটাক্ষ করে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার। তাদের বক্তব্য, শিক্ষা ব্যবস্থার খুলে পড়া মেরুদণ্ড উপহার দেওয়া হবে শিক্ষামন্ত্রীকে। সহজপাঠ, বর্ণপরিচয়ও উপহার দেবে তারা। এসএফআইয়ের দাবি, রাজ্যে মাত্র ১৩ শতাংশ পড়ুয়া অনলাইনে পড়তে পেরেছে। অবিলম্বে স্কুল, কলেজ খোলার দাবি তোলে তারা।
আরও পড়ুন: Fire at Netajinagar: নেতাজিনগরে বাড়িতে আগুন, পুড়ে মৃত্যু বৃদ্ধার