কলকাতা: এসএলএসটি মামলায় জামিন পেলেন ৪২ জন। ৭০০ টাকার বন্ডে জামিন পান তাঁরা। সোমবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের কোর্ট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ময়ূখ মুখোপাধ্যায় এই নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার মোট ৬৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরমধ্যে ২৫ জনই ছিলেন মহিলা। শুক্রবার তাঁদের আদালত ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে। বাকি ৪২ জনকে ২০ তারিখ অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার জামিন পেলেন তাঁরা। গত বৃহস্পতিবার ঘটনার সূত্রপাত। স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে ধর্না, অবস্থান চলছে এসএলএসটি প্রার্থীদের। সেদিন ধর্মতলায় শহিদ মিনারের সামনে তাঁদের অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য মাইকিং শুরু করে পুলিশ। কিন্তু তারপরও অবস্থানে অনড় থাকায় পুলিশ তা তুলতে গেলে ব্যাপক গোলমাল শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাঁদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ।
এক চাকরি প্রার্থী রাস্তায় শুয়ে পড়েন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, তাঁরা কি চোর? কেন পুলিশ এভাবে তুলে নিয়ে যাবে? এরপর লালবাজারে চার চাকরি প্রার্থী ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। রাতভর যা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। সেই রাতেই থানায় যান বামনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। শুক্রবার সকাল থেকে লালবাজারের সেন্ট্রাল লক আপে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেও খবর আসে। চাকরিপ্রার্থীরা অভিযোগ তোলেন, লালবাজারের সেন্ট্রাল লক আপে একটি ঘরের মধ্যেই ৮০ জন বিক্ষোভকারীকে রাখা হয়। একটা পাখা চালিয়ে রাখা হয়। ফলে তীব্র শ্বাস কষ্ট হয় বলে অভিযোগ তোলেন চাকরিপ্রার্থীরা।
এরইমধ্যে ধৃত ৬৭ জনকে শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়। তিন পুলিশ কর্মীর গায়ে হাত তোলার পাশাপাশি, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, পুলিশের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। হেয়ার স্ট্রিট থানায় সেই অভিযোগ দায়ের হয়। যদিও শুনানিপর্বে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সওয়াল ওঠে এজলাসে। ২৫ জন জামিন পান। বাকিরা জামিন পেলেন সোমবার।