সৌরভ দত্ত: পুর পারিষদ বা চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল বা সিআইসি’র (CIC) ঘর নিয়েও কোন্দলের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ দমদম পুরসভায় বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ ছিল। শপথ নেওয়ার পর চেয়ারম্যান কস্তুরী চৌধুরীর ঠিক উল্টোদিকের ঘরের বাইরে রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক অদিতি মুন্সির প্রতিনিধি পুর পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাসের নামের পোস্টার সাঁটিয়ে দেন তাঁর অনুগামীরা। ঘর বণ্টন তো হয়নি। কেন আগেভাগে তুলনায় বড় ঘরটি রাজারহাট-গোপালপুরের সিআইসি-স্বাস্থ্য পাবেন সেই প্রশ্নে সরব হন ব্রাত্য বসুর বিধানসভার অন্তর্গত এই বছরই প্রথম সিআইসি হওয়া নাভাস মালাকার।
সঞ্জয় দাসের নামের পাশে একই ঘরের দরজায় নাভাস মালাকারের কাগুজে ফলক টাঙিয়ে দেন নাভাসের অনুগামীরা। এ নিয়ে দু’পক্ষের অনুগামীদের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। মীমাংসার জন্য চেয়ারপার্সন কস্তুরী চৌধুরীর ঘরে যান সিআইসি সঞ্জয় দাস এবং নাভাস মালাকার। সঞ্জয়ের বক্তব্য, তাঁর দফতর বড়। তাই তিনি বড় ঘরের দাবিদার। নাভাস পাল্টা বলেন, এত ছোট ঘর থেকে তিনি দফতর পরিচালনা করতে পারবেন না। শেষমেশ শুক্রবার ইঞ্জিনিয়ার ডেকে সঞ্জয়ের ঘরের আয়তন খানিক কমিয়ে নাভাসের ঘর খানিক বড় করার সিদ্ধান্ত নেন চেয়ারপার্সন। এই রফাসূত্র শুনে আপাতত বিবাদে ইতি টেনেছেন দুই সিআইসি।
এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান কস্তুরী চৌধুরী বলেন, “ছোট বিষয়। ঘটনার কথা জানার পরে পাঁচ মিনিটে সমস্যার সমাধান করে দিয়েছি। আমার কাজ দফতর বণ্টন করা। ঘর বণ্টন করা নয়। দুই সিআইসি’র বক্তব্য শোনার পর সেটাও করে দিয়েছি।” এই ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা কটাক্ষ শানাতে শুরু করেছে। তাদের দাবি, রাজ্যজুড়েই শাসকদলে গোষ্ঠীকোন্দলের আঁচ। একটা পুরসভার ঘর, সেখানেও কার বড় ঘর, কার ছোট ঘর তা নিয়ে লড়াই চলছে। অথচ পুরসভার মাথা ব্যাথার কারণ হওয়া উচিৎ পরিষেবা। যারা ভোটে জিতিয়ে এনেছেন, সেই পুরনাগরিকদের কীভাবে যথাযথ পরিষেবা দেবে তা নিয়ে না ভেবে ঘর দখল নিয়ে ব্যস্ত তারা।