কলকাতা: বেসরকারি স্কুলে করা যাবে না অফলাইন ক্লাস। সরকারি নির্দেশিকার পরও কেন খোলা স্কুল? প্রশ্ন বিকাশভবনের। আজ, শুক্রবার থেকেই বন্ধ করতে হবে অফলাইন ক্লাস। প্রয়োজনে চলতে পারে অনলাইন ক্লাস। সূত্রের খবর, এই মর্মে ইতিমধ্যেই বেসরকারি স্কুলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে বিকাশভবন। সরকারি স্কুলগুলিতে ইতিমধ্যেই পড়ে গিয়েছে গরমের ছুটি। কিন্তু দীর্ঘ দু’বছর বন্ধ থাকার পর সবে মাত্র ছন্দে ফেরা পড়ুয়াদের ফের বাড়ি ফেরাতে নারাজ বেসরকারি স্কুলগুলি। তাই অফলাইনেই পঠনপাঠন চালাতে আগ্রহী বেসরকারি স্কুলগুলি। তাতে আপত্তি রয়েছে রাজ্যের। বেসরকারি স্কুলগুলিকেও অনলাইন মোডে পঠনপাঠন চালু রাখার নির্দেশ দিচ্ছে সরকার। তবে স্কুল খোলা রাখা যাবে না বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিকাশভবন সূত্রে তেমনটাই খবর।
স্কুল শিক্ষা দফতর স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সমস্ত স্কুলকেই রাজ্যের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি বেসরকারি স্কুল অনলাইন মোডে পঠনপাঠনের কথা জানিয়ে দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পথে হাঁটছে বাকি স্কুলগুলিও।
তবে যে সমস্ত স্কুলের তরফে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু বলে দেওয়া হয়নি, সেক্ষেত্রে অভিভাবকরা ধন্দে রয়েছেন। সরকারি নির্দেশিকার পর আদৌ সন্তানদের তাঁরা স্কুলে পাঠাবেন কিনা, প্রশ্ন অভিভাবকদের।
২ মে সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। ছুটি চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। বেসরকারি স্কুলগুলিতে যে এখনও অফলাইন ক্লাস চলছে, সে খবর পৌঁছয় বিকাশভবনের কাছে। তারপরই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। উল্লেখ্য, স্কুলে এই দীর্ঘ ছুটির বিষয়টা নিয়ে দ্বিমত তৈরি হয়েছে শিক্ষকমহলেই। অনেকেরই মত, দু’বছর স্কুল বন্ধ থাকার ফলে পড়ুয়াদের মধ্যে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। স্কুল খোলায় ধীরে ধীরে তারা ছন্দে ফিরছিল। তারই মধ্যে ফের ছুটি আবারও শিক্ষার ধারাবাহিকতাকে ব্যাহত করবে বলে মত শিক্ষকমহলের একাংশের। অন্যদিকে, গ্রামের দিকের স্কুলগুলির পড়ুয়াদের অবস্থা আরও তথৈবচ হবে। সেক্ষেত্রে তাদের অনলাইন ক্লাসের প্রতি ঝোঁকও কম। তাই শিক্ষার মানোন্নয়নের গতি আরও খানিকটা শ্লথ হবে এই দীর্ঘ ছুটিতে, মত শিক্ষকদের অনেকেরই।