কলকাতা: রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি স্কুলগুলিতে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলিতে পড়ুয়া-শিক্ষক অনুপাত নিয়ে বিগত দিনগুলিতে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। এবার রাজ্যের শিক্ষানীতিতেও উঠে এল পড়ুয়া-শিক্ষক অনুপাতের কথা। সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের যেমন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গ্রামাঞ্চলে কাজ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, শিক্ষাক্ষেত্রেও এবার তেমন ব্যবস্থা আনার সুপারিশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শিক্ষানীতিতে। সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা যাতে বাধ্যতামূলকভাবে পাঁচ বছর কিংবা প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য গ্রামাঞ্চলের স্কুলে শিক্ষকতা করেন, তা নিশ্চিত করতে একটি বদলি নীতির কথা বলা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষানীতিতে।
কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, রাজ্যে সার্বিকভাবে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত যথেষ্ট ভাল থাকলেও, জেলা স্তরে ও ব্লক স্তরে কোথাও কোথাও ব্যতিক্রম রয়েছে। সেক্ষেত্রে স্কুল শিক্ষা দফতর যাতে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত সর্বত্র ঠিকঠাক বজায় রাখতে একটি প্রয়োজনীয় বদলি নীতি তৈরি করে, সেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শিক্ষানীতিতে। স্থানীয় স্তরে পরিস্থিতি কোথায় কীরকম রয়েছে, তা বিচার-বিশ্লেষণ করে এই বদলি নীতি তৈরি করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কোন স্কুলে বর্তমান সময়ে কত পড়ুয়া ভর্তি হচ্ছে, তার সাম্প্রতিক ট্রেন্ডের উপর বিচার করে, কোন স্কুলে কতগুলি শিক্ষকের পদ থাকবে তা পুনর্গঠন করার পক্ষেও মত দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শিক্ষানীতিতে। এই পদক্ষেপগুলির ফলে রাজ্যের সর্বত্র ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত স্বাভাবিক করা যাবে বলে মনে করছে কমিটি।
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গ্রামীণ স্কুলের ক্ষেত্রে ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাতের প্রসঙ্গ বিগত দিনে উঠে এসেছে হাইকোর্টেও। গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলিতে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ঠিকঠাক করতে পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকারও। গতমাসেই রাজ্য মন্ত্রিসভা শিক্ষকদের পাঁচ বছরের জন্য গ্রামে বদলির কথা সুপারিশ করেছে। আর এবার রাজ্য শিক্ষানীতিতেও সেই একই কথা উঠে এল।