কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করা যায়, তা নিশ্চিত করাটাই একটি বড় চ্যালেঞ্জ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) কাছে। তাই এবার মনোননয়ন প্রত্যাহার ঘিরে আরও কড়া অবস্থান কমিশনের। কোনও প্রার্থী মনোননয়ন প্রত্যাহার করলে, কেন তা প্রত্যাহার করা হল, সেই কারণ জানাতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। এই মর্মে প্রত্যেক জেলাশাসককে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে কমিশন। এক দফাতেই পঞ্চায়েত ভোটের আয়োজন করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অতীতে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে যে ধরনের অশান্তি ও হিংসার অভিযোগ উঠে এসেছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
আর এরই মধ্যে মনোনয়ন পর্বের শুরুতেই যে ধরনের দৃশ্য উঠে আসতে শুরু করেছে, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন অনেকে। বিরোধীদের মনোনয়নে বাধার অভিযোগ, জামার পিছনে আগ্নেয়াস্ত্র গুঁজে ঘোরাঘুরি এমন বিক্ষিপ্ত দৃশ্য ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে এক কংগ্রেস কর্মীকে খুনেরও অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি জোর করে বিরোধী দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগও উঠে এসেছে। আর এসবের মধ্যেই এবার নড়েচড়ে বসল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কোনও প্রার্থী মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করলে, কেন তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে… সেই কারণ উল্লেখ করতে হবে।
এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যদি কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে চান, তাহলে তাঁকে নিজে কিংবা তাঁর এজেন্টকে সশরীরে উপস্থিত থেকে পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসারকে কারণ জানাতে হবে। যদি রিটার্নিং অফিসার সেই কারণে সন্তুষ্ট হন, তাহলেই মনোনয়ন প্রত্যাহারের নোটিস গৃহীত হবে। কোনও অবস্থাতেই কারণ উল্লেখ না করে মনোনয়ন প্রত্যাহার গৃহীত হবে না, স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।
রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসককে এই মর্মে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। চিঠির মুখ্য বিষয় হল, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের কারণ দর্শাতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের। কী কারণে ওই প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন, সেই বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য প্রার্থীদের উপর চাপ দেওয়ার যে অভিযোগ উঠে আসছে, তার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।