Tathagata Roy: জট কাটিয়ে বউবাজার ধরে মেট্রো চলবেই, বলছেন মেট্রো রেলের প্রাক্তন চিফ ইঞ্জিনিয়ার তথাগত রায়

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 15, 2022 | 12:01 AM

Tathagata Roy: তথাগত রায়ের সঙ্গে সহমত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম বিশ্বাস।

Tathagata Roy: জট কাটিয়ে বউবাজার ধরে মেট্রো চলবেই, বলছেন মেট্রো রেলের প্রাক্তন চিফ ইঞ্জিনিয়ার তথাগত রায়
মেট্রো রেলের প্রাক্তন চিফ ইঞ্জিনিয়ার তথাগত রায়।

Follow Us

কলকাতা: বউবাজারে (Bowbazar) মেট্রোর কাজের জন্য সুড়ঙ্গ খুঁড়তে গিয়ে যতই বিপত্তি হোক না কেন, মেট্রো চলবে বলেই মনে করেন মেট্রো রেলের প্রাক্তন চিফ ইঞ্জিনিয়ার তথা বিজেপি নেতা তথাগত রায়। নর্থ সাউথ করিডরে প্রথম মেট্রোর কাজ যখন হয়, তখন সেই দলে ছিলেন তথাগত রায়। তিনি জানান, সে সময়ও বহু বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছিল। তবে এই কাজের ক্ষেত্রে প্রতিটা মুহূর্তের পর্যবেক্ষণ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।

টিভি নাইন বাংলাকে তথাগত রায় বলেন, “এ সমস্ত সুড়ঙ্গ যখন করা হয় তখন মাটির মধ্যে নানারকম মুভমেন্ট হয়। এগুলো ভাল করে পর্যবেক্ষণ করা দরকার। প্রথম যখন নর্থ সাউথ মেট্রো করেছিলাম তখন আমরা এইগুলো করতাম। খুব সযত্নে দেখতাম কোথায় মাটি কীরকম নড়ছে, তার ফলে কোনও বাড়ির ক্ষতি হচ্ছে কি না। এই জিনিসটা এখানে হয়েছে কি না আমি বুঝতে পারছি না। করা হয়ে থাকলে ভাল। তবে হয়ত এরা মনে করেছিল টানেল যেহেতু চলে গেছে আর কোনও সমস্যা নেই, পরে আর কিছু হবে না। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক তা নয়। পরেও হতে পারে। এটা তাই হয়েছে। তবে আমার মনে হয় না খুব মারাত্মক কিছু হবে। বাড়ি ভেঙে পড়বে না। এই বাড়িগুলিই সত্বর সারিয়ে দেওয়া উচিত। ততদিন তাঁদের হোটেলে রাখা, ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।”

তথাগতবাবু জানান, নর্থ সাউথ মেট্রোর কাজের সময়ও নানা অসুবিধার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁদের। সে কথা মনে করে তথাগত রায় বলেন, “প্রথম মেট্রো যখন হয়েছিল তখন তো এই প্রক্রিয়ায় কাজ হয়নি। সেটা যখন হয়েছিল তাতেও অনেক বাড়ি ভেঙেছিল। সেই সময় আমরা একটা ব্যবস্থা রাখতাম বাড়ি সারিয়ে দেওয়ার। কিংবা বাড়িওয়ালা চাইলে নিজে সারিয়ে নিয়ে আমাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নিতে পারতেন।” তবে মেট্রো চলাচল শুরু হলে আর কোনও সমস্যা হবে না, আশাবাদী তিনি। এ সমস্যা সুড়ঙ্গ কাটা সংক্রান্ত, তাতেই শেষ হবে।

আইআইইএসটি শিবপুরের প্রাক্তন রেজিস্ট্রার তথা ক্যালকাটা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টের প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, কলকাতা শহরটাই গড়ে উঠেছে কাদা মাটির উপর। বউবাজার চত্বরের সব পুরনো বাড়ি এর উপরই। তাই এই সমস্যা। টানেল তৈরির সময় মেট্রো রেলকে আরও সচেতন হতে হত। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অসম্ভব বলে কিছু হয় না। তবে এই রুটে মেট্রো চালাতে খরচটা অনেক বেড়ে যাবে। কারণ মেট্রো রেলের সব বিষয়ে পুনরায় পরীক্ষা করা উচিত। মেট্রো চললে বাড়িগুলোর স্থিতাবস্থায় প্রভাব পড়বে কি না তা আরও একবার খতিয়ে দেখে নেওয়া উচিত।

অন্যদিকে তথাগত রায়ের সঙ্গে সহমত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম বিশ্বাস। তাঁর কথায়, “এখানে আসল সমস্যা হচ্ছে সমস্যা হবে এটা আঁচ করতে না পারা। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মাটির মান বোঝা। আমি মনে করি এই সমস্যার জন্য মেট্রোর কাজ আটকে যাবে এরকম কোনও মানে নেই। আগামী ৫০ বছরে কলকাতার লাইফলাইন হবে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো। তাই কাজ শেষ হওয়ার পরে বেশ কয়েকবার ট্রায়াল রান করে দেখে নিতে হবে কোথাও সমস্যা হচ্ছে কি না।”

Next Article