কলকাতা: ২০১৪ সালের টেট (TET) উত্তীর্ণদের আন্দোলন মধ্যরাতে ছত্রখান করল বিধাননগর পুলিশ। একের পর এক আন্দোলনকারীকে বাসে টেনে তোলা হয় বৃহস্পতিবার রাতে। এদিকে সল্টলেক ১০ নম্বর ট্যাঙ্কের সামনে বসা ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা তখনও বলে চলেছে আন্দোলন থেকে তাঁরা সরবেন না। যদিও এই মিলিত স্বরের মধ্যেই আরও একটি জিনিস এদিন দেখা গিয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের কেউ কেউ অবস্থান থেকে উঠে পড়েন। তাঁরা দাবি করেন, শুক্রবার বিজ্ঞপ্তিতে চমক থাকবে। যা নিয়ে তাঁরা আশাবাদী। যদিও কী সেই বিজ্ঞপ্তি, চমকই বা কী তা খোলসা হয়নি। অন্যদিকে একাংশকে আবার রাস্তাতেই বসে থাকতে দেখা গিয়েছে এদিন। তাঁদের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ‘২০১৪ সালের অবস্থানকারীদের হঠাতে আমাদের ব্যবহার করেছে।’ আগামিদিনে ২০১৪ সালের চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা। এই বক্তব্যের সূক্ষ্ম ফারাক প্রশ্ন জিইয়ে রাখছে, ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে কোথাও কোনও বিভাজনের গন্ধ নেই তো?
২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের অবস্থান থেকে তুলে দিয়ে পুলিশবাহিনী পৌঁছয় ১০ নম্বর ট্যাঙ্কের সামনে। এখানেও পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আন্দোলন ছেড়ে উঠে যেতে হবে। এরপরই আন্দোলনকারীদের একাংশ ক্যামেরার সামনে দাবি করেন, “এখন আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি ১১ হাজার ৫০০ কিছুই নয়। ‘১৪ এবং ‘১৭ উভয়কেই বঞ্চিত করা হচ্ছে। কিছুই স্বচ্ছ নিয়োগ হচ্ছে না। এখানে ‘১৪-এর বিরোধিতা করতে ‘১৭কে নিয়ে আসা হয়েছে। এতে যদি সরকার মনে করে বা পর্ষদ মনে করে আমরা ছেড়ে দেব, একেবারেই নয়। পর্ষদ সভাপতি মিষ্টি মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে দিচ্ছেন। এভাবে চললে আমরা ‘১৪ এবং ‘১৭ একসঙ্গে নামব।”
যদিও আরেক চাকরি প্রার্থী, যিনি ২০১৭-রই টেট উত্তীর্ণ তিনি বলেন, “আমরা যে দাবি নিয়ে এসেছিলাম তা প্রায় অনেকটাই মান্যতা পেয়েছে। আমাদের পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে কথা হয়ে গেছে। উনি বলেছেন তোমাদের নোটিফিকেশনে চমক আসতে চলেছে। আমরা ওনার কথায় আশাবাদী। উনি বলেছেন মনমতো নোটিফিকেশন না হলে আবার আসবে তোমরা।” তবে সকলেই জানিয়েছেন দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন থেকে তাঁরা সরবেন না।