কলকাতা: ঠিক ১৫ থেকে ১৬ মিনিটের অভিযান। রাত ১২টা বেজে ১৬ মিনিট নাগাদ বিধাননগর কমিশনারেটের (Bidhannagar) ডিসি ঘোষণা করলেন, এই জমায়েত আইনি নয়, বেআইনি। অভিযোগ, এরপরই সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল অবস্থানরতদের তোলার ‘অ্যাকশন’। কার্যত টেনে হিঁচড়ে তিনটি বাসে আন্দোলনকারীদের তোলা হয় বলে অভিযোগ। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের (নট ইনক্লুডেড) ৮৪ ঘণ্টার অবস্থান তুলতে সময় লাগল মাত্র ১৫ থেকে ১৬ মিনিট। রাত ১২টা পর্যন্তও যে জায়গা কার্যত ভিড়ে ঠাসা ছিল মুহূর্তে সব ফাঁকা করে দিল পুলিশ। বিধাননগর উত্তর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় আন্দোলনকারীদের অনেককেই।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে সামনে রেখে এদিন সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট থেকে মাইকিং শুরু করে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের উঠে যেতে বলা হয়। ঘোষণা করা হয়, আন্দোলনস্থলে ১৪৪ ধারা বলবৎ আছে। যদিও প্রথম দিকে পুলিশের হাতে লাঠিও ছিল না। তবে বারবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাদের। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে তারা। এরইমধ্যে মধ্যরাতে ছত্রভঙ্গ করা হল আন্দোলন। অভিযোগ উঠেছে, মেয়েদের পর্যন্ত রাতেই ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও আইন বলে সূর্যাস্তের পর মেয়েদের গ্রেফতার বা আটক করা যায় না।
রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো বলেন উনি আইন জানেন। আজকে পুলিশকে এগিয়ে দিচ্ছেন। একটা গণতান্ত্রিক আন্দোলন এভাবে তোলা হল। আসলে মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। তাঁর দলের দুর্নীতি সামনে এসে গেছে। সকাল ১০টায় আমরা যাচ্ছি আদালতে।” চাকরিপ্রার্থীদের অধিকাংশই এদিন দাবি করেন, তাঁরা বুঝতেই পারছেন না তাঁদের আটক করা হল নাকি গ্রেফতার। বিষয়টি এখনও পুলিশের তরফেও স্পষ্ট নয়।
আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, সূর্য ডুবে যাওয়ার পর মহিলাদের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার কিংবা আটক করা যায় না। শুক্রবার রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “এই ঘটনা অনৈতিক, বর্বর আক্রমণ।”