কলকাতা: বুধবারই নতুন মন্ত্রিসভার ঘোষণা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্ন থেকে নিজে জানিয়েছেন সে কথা। তার আগে এদিন তৃণমূল তাদের ৩৫টি সাংগঠনিক জেলায় রদবদল করল। একাধিক জেলায় সাংগঠনিক সভাপতি পদে রদবদল করা হয়েছে। নদিয়া দক্ষিণ, বারাসত, বনগাঁ, হুগলি, কোচবিহারের মতো সাংগঠনিক জেলায় যেমন মাথা বদল হয়েছে। একইভাবে এদিন তৃণমূলের তরফে যে রদবদলের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে বেশ কয়েকটি জেলায় ফাঁকাও রাখা হয়েছে। সেগুলি পরে জানানো হবে।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বদল বারাসতে। সেখানে নতুন সভাপতি হলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। অন্যদিকে বনগাঁর জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে গোপাল শেঠকে। সেখানে সভাপতি হয়েছেন বিশ্বজিৎ দাসকে। সেই বিশ্বজিৎ, যিনি বিজেপির টিকিটে জিতে বাগদার বিধায়ক হয়েছেন। নদিয়া দক্ষিণের সভাপতি করা হয়েছে দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে। শ্রীরামপুরের জেলা সভাপতি পদে অরিন্দম গুঁই। এখানে এতদিন ছিলেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী। যদিও বীরভূমে অনুব্রতেই ভরসা রেখেছে দল।
পার্থপ্রতিম রায়কে সরানো হয়েছে কোচবিহার থেকে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি ছিলেন বিধান উপাধ্যায়। তাঁকেও সরানো হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ফেরানো হয়েছে কো-অর্ডিনেটর পদ। ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি পদেও বদল। দেবনাথ হাঁসদাকে সরিয়ে ফের নিয়ে আসা হল দুলাল মুর্মুকে। আরও একটি বিষয় এই নতুন তালিকায় উল্লেখযোগ্য। বহু মহিলা মুখ গুরুত্ব পেয়েছে এই তালিকায়। দার্জিলিং পাহাড়ে সভাপতি রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী। দার্জিলিং সমতলে সভাপতি পাপিয়া ঘোষ ছিলেন এতদিন। সেই পদে বহাল তিনি।
আরও বেশ কিছু উল্লেখ্যযোগ্য বদল নজরে আসছে এই ক্ষেত্রে। পার্থ ভৌমিককে ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে। মমতার নতুন মন্ত্রিসভায় যে দুই মুখ নিয়ে জল্পনা শোনা যাচ্ছে সেখানে পার্থ ভৌমিকের নাম রয়েছে। একইসঙ্গে দলের অন্দরে সুবক্তা হিসাবে পরিচিত স্নেহাশিস চক্রবর্তীকেও প্রয়োজনে মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট, এরপর লোকসভা ভোট। এই আবহে জেলা সভাপতি বদল নিঃসন্দেহে আলাদা তাৎপর্যের দাবি রাখে।