কলকাতা: পার্থকাণ্ডের মাঝেই আরেক কাণ্ড রাজ্যে। ফের টাকা উদ্ধার। ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে এ রাজ্য থেকে। হাওড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। উদ্ধার হয় ৪৯ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই ওই তিনজনকে সাসপেন্ড করেছে কংগ্রেস। এই ঘটনায় কংগ্রেস অবশ্য বলছে, সরকার ফেলতে চক্রান্ত করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়ক অনুপ সিং এ নিয়ে এফআইআরও দায়ের করেছেন। এবার এই ঘটনা ঘিরে সরব হল তৃণমূল। রবিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কুণাল ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদাররা দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে ‘পিছন দরজা দিয়ে সরকার দখলের’ খেলা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হোক।
এদিন কুণাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসের তিন বিধায়ক বিপুল পরিমাণ টাকা-সহ ধরা পড়েছে। কারা টাকা দিল, কোথায় যাচ্ছিলেন? এগুলি কংগ্রেসের খোলসা করে বলা উচিৎ। তাঁরা নোট বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছিল। এবার তাঁরা বলুন এই নোটগুলি নিয়ে। কংগ্রেসকেও জবাব দিতে হবে এই ঘটনার। তাদের বিধায়কের গাড়িতে এতো বেআইনি টাকা কীভাবে এল?”
এই কথার রেশ ধরেই কুণাল বলেন, “আরও একটি জরুরি বিষয় উঠে আসছে। কিছুদিন ধরে বলা হচ্ছিল, মহারাষ্ট্রের পর অমুক। অমুকের পর ঝাড়খণ্ড, ঝাড়খণ্ডের পর এই…। যেখানে বিজেপি ভোটে সাধারণ অঙ্কে সরকার পাচ্ছে না, সেখানে এসব করছে। এটা ঝাড়খণ্ডে সরকার ভাঙার খেলা নয় তো? এই কংগ্রেসের বিধায়কদের কে টাকা দিল, কোথায় পেলেন এই বিপুল টাকা? কেউ বলছে ওনারা গুয়াহাটি গিয়েছিলেন, কেউ বলছেন কলকাতা থেকে ফিরছিলেন। কিছুদিন আগে রাজ্য বিজেপির দলবদলু, সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা নেতা বলছিলেন, সরকার ফেলা, সরকার দখলের কথা। এটা সে সংক্রান্ত কোনও বিষয় নয় তো? কংগ্রেসও বলছে সরকার ফেলার চেষ্টা, ষড়যন্ত্র। তা হলে এই কেসে শুভেন্দু অধিকারীকেও যুক্ত করতে হবে। কারণ তিনিও তো বলছিলেন ঝাড়খণ্ডের কথা। দেখতে হবে তো তিনিও এর অংশ কি না।”
যদিও এ বিষয়ে এদিন সিউড়িতে রেলের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “এই বিধায়করা তো কংগ্রেসের, উত্তরটা কংগ্রেসই দিতে পারবে। ভারতীয় জনতা পার্টিকে সরকার ফেলতে হবে না, এমনিতেই পড়ে যাবে।”