Fraud Case: সরকারি চাকরির নামে টাকা আত্মসাৎ, তৃণমূল বিধায়কের আপ্ত সহায়ক গ্রেফতার

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Apr 30, 2022 | 3:27 PM

Tehatta: তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

Fraud Case: সরকারি চাকরির নামে টাকা আত্মসাৎ, তৃণমূল বিধায়কের আপ্ত সহায়ক গ্রেফতার
বিধায়কের আপ্ত সহায়ক গ্রেফতার। প্রতীকী চিত্র

Follow Us

কলকাতা: আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তৃণমূল বিধায়কের আপ্ত সহায়ককে। সঙ্গে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। একই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন শ্যামল কয়াল ও সুনীল মণ্ডলও। যদিও তাপস রায়ের দাবি, তাঁর আপ্ত সহায়ক কেউ ছিল না। প্রবীরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল, ওই পর্যন্তই। সম্প্রতি নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে। এলাকার কিছু লোক তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। সেখানে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতানোর অভিযোগ তোলা হয় বিধায়ক ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। যদিও যে সময় এই ঘটনার কথা অভিযোগপত্রে বলা হয়, সে সময় তাপস সাহা পলাশিপাড়ার বিধায়ক (২০১৬-২১) ছিলেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পলাশিপাড়ার বিধায়ক ছিলেন তাপস সাহা। সে সময় চাকরি দেওয়ার নাম করে আমাদের কাছ থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নেন। এখনও পর্যন্ত সে টাকা দিচ্ছেন না, চাকরিও দিচ্ছেন না। এই মুহূর্তে আমরা বেকার যুবকরা কী করব? টাকা বা চাকরির একটা না পেলে আমাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও পথ থাকবে না।’

সম্প্রতি সিআইডির প্রতিনিধি দল এই ঘটনার তদন্তে যান। যাঁরা প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। দীর্ঘক্ষণ এই কথোপকথন হয়। সূত্রের দাবি, এরপরই বিধায়ক তাপস সাহা ও তাঁর বেশ কয়েকজন অনুগামীর সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তকারীরা। এরইমধ্যে এই গ্রেফতারি নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। শনিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে। অভিযোগ, প্রবীর কয়াল দীর্ঘদিন ধরে তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক হিসাবে কাজ করছেন। যদিও তাপস সাহা তা অস্বীকার করেছেন। তবে প্রবীরের গ্রেফতারি এই তদন্তে নতুন মোড় আনতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও বিধায়ক তাপস সাহা পাল্টা দাবি করেছিলেন, এলাকার এক দলীয় নেত্রীর ষড়যন্ত্রে এসব হচ্ছে।

অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কিছুদিন আগেই নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র চাকরির নামে প্রতারণার বিষয়ে সরব হয়েছিলেন। সোশাল মিডিয়ায় তাঁর পোস্ট ছিল, ‘ভয় পাবেন না। চোর, প্রতারককে ভয় করার কোনও কারণ নেই। যতই প্রভাবশালী হোক না কেন এক দিন না একদিন ধরা পড়বেই – তাই দয়া করে এগিয়ে আসুন – চলুন এই চক্রগুলিকে বন্ধ করি।’

শনিবার কলকাতা নগর দায়রা আদালতে নারদ মামলায় হাজিরা ছিল তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের। সেখানে তেহট্টের ঘটনা প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, “দুর্নীতি দমন শাখা তো রাজ্য পুলিশের। তা হলে সত্যি যদি অন্যায় হয় তবে রাজ্য পুলিশ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। তবে অভিযুক্ত মানেই প্রমাণিত নয়। রাজ্য পুলিশকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কাউকে রেয়াত করবে না। সে যেই হোক। যে টাকা নিয়েছে চাকরি দেওয়ার জন্য বা কিছু কাউকে রেয়াত করা যাবে না।”

আরও পড়ুন: Arjun Singh Letter: পাট শ্রমিকদের বাঁচান, কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে মমতাকে পাশে চেয়ে চিঠি অর্জুনের

Next Article