AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CM Mamata Banerjee: লন্ডনের অফিস খোলেনি বলেই হেলিকপ্টারে চড়তে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী! ঠিক কী ঘটেছিল?

মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার যে সংস্থার থেকে নেওয়া,তার নাম 'হেলিগো'। এটি ভারতীয় কোম্পানি। এই সংস্থার সঙ্গে রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতর চুক্তি করে। তবে শর্তানুযায়ী, এই ধরনের সংস্থার সঙ্গে হেলিকপ্টার প্রস্তুতকারী লন্ডনের কোনও সংস্থার চুক্তি থাকতে হবে। সেই মতো ভারতীয় এই কোম্পানির সঙ্গে লন্ডনের একটি সংস্থার চুক্তি ছিল।

CM Mamata Banerjee: লন্ডনের অফিস খোলেনি বলেই হেলিকপ্টারে চড়তে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী! ঠিক কী ঘটেছিল?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 25, 2025 | 9:32 PM
Share

কলকাতা: মঙ্গলবার মতুয়াগড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে, মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি যেতে পারেনি সেখানে। কনভয় নিয়ে সড়কপথেই যান। সূত্রের খবর, শেষ মুহূর্তে এভাবে সফরসূচি বদল হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে সংস্থার থেকে মমতার হেলিকপ্টার নেওয়া হয়েছে, সেই সংস্থাকে শোকজ করা হতে পারে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দফতর।

মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার যে সংস্থার থেকে নেওয়া,তার নাম ‘হেলিগো’। এটি ভারতীয় কোম্পানি। এই সংস্থার সঙ্গে রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতর চুক্তি করে। তবে শর্তানুযায়ী, এই ধরনের সংস্থার সঙ্গে হেলিকপ্টার প্রস্তুতকারী লন্ডনের কোনও সংস্থার চুক্তি থাকতে হবে। সেই মতো ভারতীয় এই কোম্পানির সঙ্গে লন্ডনের একটি সংস্থার চুক্তি ছিল।

রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতর মোট তিন বছরের জন্য হেলিগোর সঙ্গে চুক্তি করেছে বলে খবর। ২০২৪ সালে জুলাই মাসে সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। তারপর ফের আরও দুই বছরের জন্য চুক্তির সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়। আগামী ২০২৬ সালের জুলাই মাসে এই চুক্তি সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার কথা।

আজ হেলিকপ্টারের বিমার মেয়াদ শেষ হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী তাতে যেতে পারেননি। এরপরই এ দিন, হেলিগোর কাছ থেকে পরিবহণ দফতর রিপোর্ট চায়। নিজেদের প্রাথমিক উত্তরে ওই সংস্থা জানিয়েছে,সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ লাইসেন্স এবং বীমার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ই-মেইল তাদের কাছে আসে। সেই মতো তারা বিষয়টি লন্ডনের সংস্থাকে জানায়।

লন্ডনের তরফে সংস্থাটি জানায় সকালে অফিস খুলেই তারা বিষয়টি নিয়ে যাবতীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে দেবে। কিন্তু লন্ডন যেহেতু ভারতের থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পিছিয়ে। ফলে পরিবহণ দফতর যে সংস্থার কাছ থেকে লিজ নিয়েছিল, তারা সকালে অফিস খুলে কাগজপত্র প্রস্তুত করলেও, লন্ডনের অফিস খোলেনি। সেই অফিস খোলা হয় ভারতীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ (লন্ডনের সময় সকাল ১০ টা)। ফলে বিকেলে যাবতীয় অনুমোদনের কাগজপত্র আসে। কিন্তু ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে গিয়েছে। কিছু করা আর সম্ভব হয়নি।

যদিও পরিবহণ দফতর এই বক্তব্য খুশি নয়। হেলিগো-কে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। একই সঙ্গে পরিবহণ দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে,ওই সংস্থাকে বড় অঙ্কের আর্থিক জরিমানা করার। কারণ হিসেবে পরিবহণ দফতরে কর্তাদের দাবি,চুক্তিতে বলা ছিল কোনও হেলিকপ্টারে সমস্যা দেখা দিলে বিকল্প হেলিকপ্টার দিতে হবে। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। এমনকি ব্যবস্থা করা হয়নি। সেকারণেই শোকজ করা হয়েছে।