কলকাতা: করুণাময়ীতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের (Karunamoyee TET Agitators) হঠানো নিয়ে এবার সরব রাজ্য মহিলা কমিশন। অনশনরত মহিলা চাকরিপ্রার্থীদের মাঝরাতে পুলিশ দিয়ে তোলা হল কেন? সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত ছবির ভিত্তিতে এই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য মহিলা কমিশন। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। উল্লেখ্য, চারদিন ধরে সল্টলেক করুণাময়ী চত্বরে আন্দোলন করছিলেন টেট চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু ২০ অক্টোবর গভীর রাতে (১২ টা ১৫ মিনিট নাগাদ) পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে জোর করে হঠিয়ে দেয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। সূর্যাস্তের পর আইনত কোনও মহিলাকে আটক করা যায় না, তাহলে পুলিশ কীভাবে এই পদক্ষেপ করল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলগুলির অনেকে।
রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘটনার পরের দিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে রাতে বেআইনিভাবে মহিলাদের আটক করা হয়েছে। সেইরাতে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বিধাননগর পুলিশের কমিশনারকে।
উল্লেখ্য, করুণাময়ী চত্বরে রাস্তার উপরে আন্দোলনে বসেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। সময় যত এগোয়, ততই ঝাঁঝ বাড়তে থাকে আন্দোলনের। ক্রমেই অবস্থান মঞ্চ রূপ নেয় অনশন মঞ্চের। আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। এদিকে পুলিশের তরফেও একাধিক বার মাইকিং করা হয়। বলা হয় উঠে যাওয়ার জন্য। কিন্তু কোনও কিছুতেই কাজ হয় না। আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশ জোর করে তুলে দেয় অবস্থানকারীদের। ওই রাতে প্রথমে পুলিশ ঘোষণা করে, আন্দোলনকারীদের জমায়েত বেআইনি। ১৪৪ ধারা না মেনে আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীদের খানিক সময় দেওয়া হয় উঠে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারপরও অবস্থান না ওঠার পুলিশ পদক্ষেপ করে। ওই রাতে মহিলা আন্দোলনকারীদেরও আটক করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে সরব হয়েছিল বিরোধীরাও। এবার রাজ্যের মহিলা কমিশন ওই ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করল।