কলকাতা: টানাপোড়েন চলছিলই। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর যাদবপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য অনুমোদনও দিয়েছিল। কিন্তু, শেষে রাজভবনের চিঠির পরেই তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। খোদ এ কথা জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্য়ালয়ের (Jadavpur University) ভারপ্রাপ্ত উপচার্য বুদ্ধদেব সাউ। যদিও বিতর্কের মধ্যেই ২৪ ডিসেম্বর রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হচ্ছে বলে দাবি এডুকেশনিস্ট ফোরামের। ফোরামের দাবি, রাজ্য সরকার উপাচার্যকে অনুমতি দিয়েছেন সমাবর্তনের আয়োজন করতে। রাজ্যপাল তথা আচার্যের কোনও এক্তিয়ার নেই সমাবর্তন করানো নিয়ে। স্থায়ী উপাচার্যের ক্ষেত্রে নিয়ম কোর্ট মিটিং ডেকে সমাবর্তনের অনুমোদন নেওয়া হলেও, অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হয়। সেই অনুমতি সরকার দিযেছে। তাই সমাবর্তন হবে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এমনই দাবি করেছেন এডুকেশনিস্ট ফোরামের সদস্যরা।
বৈঠকে ছিলেন যাদবপুরের অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডল, ওমপ্রকাশ মিশ্ররা। সেখানেই তাঁরা স্পষ্ট জানান, ২৪ তারিখ সমাবর্তন হচ্ছেই যাদবপুরে। সাংবাদিক বৈঠকে মনোজিত মণ্ডল বলেন, “আমি ঘটনাচক্রে বিভাগীয় প্রধান হওয়ার কারণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের মেম্বার। ইসির মেম্বার তো সরকারের একটা সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে ইসির মেম্বার ছিলাম। গত তিন দিন আগে আচর্যের চিঠি আসে। সেখানে উনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, কনভোকেশন বা কোর্ট মিটিং ডাকতে পারবেন না। এরপরই জরুরিভিত্তিতে ইসি মিটিং বসে। ইসির সদস্যরা সর্বোসম্মতিক্রমে বার্ষিক সমাবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। সাধারণত, সমাবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় ইসি, চূড়ান্ত সিলমোহর দেয় কোর্ট। এটাই যাদবপুরের আইন।”
মনোজিতের দাবি, ডিগ্রি দেওয়ার অধিকার বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কোর্টের আছে। কোর্ট মিটিং ঠিক করে কারা ডিগ্রি পাবে। কোর্ট মিটিং ডাকার জন্য আচার্যের অনুমতি দরকার হয় না। এমনটাই বলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন আইন। ৫০০০ পড়ুয়া আবেদন করেছে এই সমাবর্তনের জন্য। ২৪ ডিসেম্বরই সমাবর্তন হবে। সেটাই বিশ্ববিদ্যালয় আইনে লেখা রয়েছে। সেটা না হওয়াই বেআইনি। একই সুর ওমপ্রকাশের গলাতেও। স্পষ্ট বলেন, আইন মেনে নির্দিষ্ট মেনেই সমাবর্তন হবে। সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে থাকবেন না আচার্য সিভি আনন্দ বোস। উপাচার্যের নেতৃত্বেই গোটা অনুষ্ঠান পরিচালনা হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন ইউজিসির চেয়ারম্যান।