কলকাতা : কুন্তল ঘোষ নাকি ‘কালীঘাটের কাকু’র কাছে টাকা পাঠাতেন। সংবাদমাধ্যমে এমনটাই বলেছিলেন গোপাল দলপতি। সেই সূত্রপাত। ‘কালীঘাটের কাকু’? সেটা আবার কে? গোপালের কাছ থেকে উত্তর না মিললেও একদিন সেই উত্তর মিলে যায় আর এক অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে। ‘নামটা কী যেন… সুজয় ভদ্র না কী’, এভাবেই ভাসিয়ে দিয়েছিলেন নামটা। তারপরই শুরু হয় তল্লাশি। তবে গোয়েন্দারা ‘কালীঘাটের কাকু’র খোঁজ পান বেহালায়। ‘রাধারানি’ নামের একটি বাড়িতে বাস। গোয়েন্দাদের নজরে চলে আসেন ‘কাকু’। বারবার জিজ্ঞাসাবাদ, তল্লাশি অভিযানের পর অবশেষে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হল সেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে।
বেহালার সুজয়বাবুকে কুন্তল ঘোষের মতো অনেকেই নাকি কাকু বলে ডাকতেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে সে কথা নিজেই স্বীকার করেছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ কালীঘাটের কেন? বেহালারও তো হতে পারতেন! মাস কয়েক আগে TV9 বাংলায় সুজয়কৃষ্ণ দাবি করেছিলেন, কালীঘাটের সঙ্গে কী সম্পর্ক, তা নাকি তিনি বুঝেই উঠতে পারছেন না।
কালীঘাট কানেকশনের কথা না বুঝতে পারলেও, অভিষেকের নাম শোনা গিয়েছিল কাকুর মুখে। TV9 বাংলাকে তিনি বলেছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার মালিক, তিনিই আমার অন্নদাতা। তিনি জানিয়েছিলেন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নামে একটা জলের কারখানা রয়েছে, সেটাই দেখেন তিনি। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আর একদমই সময় দিতে পারেন না। ব্যবসায় আপাতত অভিষেক নেই বটে, কিন্তু তিনিই যে চাকরিটা দিয়েছিলেন, এ কথা স্বীকার করেন সুজয়কৃষ্ণ।
তবে ক্যামেরার সামনে অভিষেককে সাহেব বলে সম্বোধন করে কাকু বলেছিলেন, ‘আমার সাহেব জীবনে এই সমস্ত কোনও ব্যাপারে কাউকে কখনও এন্টারটেন করেননি। আমার ধারণা ভবিষ্যতেও করবেন না। জীবনে না। আপনি কখনও একটা ফোন কল দেখাতে পারবেন না, অভিষেক ব্যানার্জিকে করেছি। আপনি কখনও দেখাতে পারবেন না আমি অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করেছি।’
নিজেকে তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী বলে দাবি করা সুজয় ভদ্রের সঙ্গে কালীঘাটের কী যোগ, কেন তাঁর নাম উঠে এল নিয়োগ মামলায়, এসব খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।