EXCLUSIVE: ‘নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিন, বেকারত্বের জ্বালা থেকে কবে মুক্ত হব?’, চোখের জলেই প্রশ্ন চাকরি প্রার্থীদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jul 31, 2022 | 12:45 AM

EXCLUSIVE: দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলছে চাকরি প্রার্থীদের ধরনা। খেয়েছেন পুলিশের মার, পেয়েছেন সরকারি প্রতিশ্রুতি, মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছেন, ফোনে কথাও বলেছেন কিন্তু হকের চাকরি পাননি। কিন্তু নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি কবে? প্রশ্ন চাকরি প্রার্থীদের।

EXCLUSIVE: ‘নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিন, বেকারত্বের জ্বালা থেকে কবে মুক্ত হব?’, চোখের জলেই প্রশ্ন চাকরি প্রার্থীদের

Follow Us

কলকাতা: অর্পিতার ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকার পাহাড় দেখে চোখ ছানাবড়া হওয়ার জোগাড় বঙ্গবাসীর। বিরোধীরা বলছেন, ‘ওগুলি টাকা নয়, বেকার যুবক-যুবতীদের চোখের জল’। এদিকে বর্তমানে ইডি হেফাজতেই দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। অন্যদিকে দাবি আদায়ের জন্য রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে একটানা ৫০০ দিন ধরনায় বসে রয়েছেন এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা। পার্থর গ্রেফতারির পর নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তোলপাড় তো হল! কিন্তু আদৌও কি হাসি ফুটবে চাকরি প্রার্থীদের মুখে? উত্তর খুঁজছে গোটা বাংলা। 

দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলছে চাকরি প্রার্থীদের ধরনা। খেয়েছেন পুলিশের মার, পেয়েছেন সরকারি প্রতিশ্রুতি, মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছেন, ফোনে কথাও বলেছেন, কিন্তু হকের চাকরি পাননি। এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর মুখ্যমন্ত্রী যদিও বলেছেন তিনি কিছুই জানতেন না, তাতে চাকরি প্রার্থীদের আতঙ্ক আরও বেড়েছে। এদিক শুক্রবার এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করছেন শুনেই ছুটে আসেন প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণরা। সেখানও পুলিশি বাধা মুখে পড়েন তাঁরা। ক্য়ামাক স্ট্রিট থেকে শুধু তাঁদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তুলেই দেওয়া হয়নি, তুলে দেওয়ার পর ঝাঁট দিয়ে সাফ করা হয়েছে ওই জায়গা। সরকারের এ আচরণ কেন? কেন শোনা হচ্ছে না চাকরি প্রার্থীদের কথা? আজ প্রশ্ন করছে বাংলা? 

উত্তর খুঁজতে গিয়ে টিভি-৯ বাংলায় একরাশ হতাশার কথা শোনালেন চাকরি প্রার্থীরা। স্টুডিয়োতে এসে কেঁদেও ফেললেন কেউ কেউ। কাঁদতে কাঁদতেই টেট চাকরি প্রার্থী পিয়ালি গুছাইত বললেন, “প্রায় দেড় বছর ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার চিঠি পাঠিয়েছি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও পাঠানো হয়েছিল। আমরা জানতে চাই কবে আমরা বেকারত্বের জ্বালা থেকে মুক্ত হব? কবে আমরা এই বঞ্চনার হাত থেকে রক্ষা পাব?”  আর এক চাকরি প্রার্থী তনয়া বলেন, “৫০০ দিন ধরে আমরা ধরনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিন। প্রশাসন, আদালতের কাছে হাতজোড় করে বলছি আমরা ১০ টা থেকে ৫টা আমরা গান্ধী মুর্তির পাদদেশে থাকতে চাই না। আমরা স্কুলে যেতে চাই।”

Next Article