কলকাতা: তিন মাস আগে সুমিতা ঘোষ দিদির শ্বশুরবাড়ি শিয়ালদহে ঠাকুরপাড়ায় এসে উঠেছিলেন। ১৫ দিন আগে এখান থেকে তিনি চলেও যান। তারপর থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ ছিল না। এমনটাই বলছেন জামাইবাবু মানিক ঘোষ। সম্পত্তি নিয়ে কোন সমস্যা হতে পারে, যার জন্যই তাঁকে খুন করা হল বলে মনে করছেন তিনি। জামাইবাবুর সাফ কথা, “ও তো বছর একবার আসেই। দু-একমাস থাকে। আগের বছরই তো ফ্রেব্রুয়ারিতে এসেছিল। বেশ কিছুদিন ছিল।” এমনকী শ্যালিকার সঙ্গে যে এই কাণ্ড ঘটে গিয়েছে তাও তাঁরা জানেন পুলিশের মাধ্যমেই।
একইসঙ্গে তিনি আরও জানান, ফাল্গুনী ঘোষ এবং আরতি ঘোষ আগে একাধিকবার এই বাড়িতেও এসেছিলেন। তবে সেই সময় কোনও পারিবারিক অশান্তির কথা মনে করতে পারছেন না কেউই। এদিকে মৃত সুমিতা আবার সম্পর্কে ফাল্গুনী ঘোষের পিসিশাশুড়ি। এই ফাল্গুনীর মা আরতি ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে আহিরীটোলা ঘাট থেকে নীল রঙের ট্রলি ব্যাগ সমেত তাঁদেরই গ্রেফতার করেছিল। এই ট্রলিতেই ছিল সুমিতার দেহাংশ।
ঘটনা সামনে আসার পর থেকে সুমিতার পরিবারের মধ্যেও চলছে চাপানউতোর। জামাইবাবু মানিক ঘোষ বলছেন দিন পনেরো আগে যখন সুমিতা চলে গিয়েছিলেন তখন জানিয়েছিলেন আত্মীয়দের বাড়িতে ঘুরতে যাচ্ছেন। তারপর থেকে সুমিতার সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ নেই। অমিতবাবুর ভাই চন্দন ঘোষেরও একই কথা। তিনি বলছেন, “ওর তো এমনিতে কোনও শত্রু ছিল না। কী থেকে কী হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছি না। টাকা-পয়সার বিষয়ই এই কাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।”