কলকাতা: অতি গভীর নিম্নচাপে দুর্যোগের রক্তচক্ষু দক্ষিণবঙ্গে। হাওয়া অফিস বলছে, বর্তমানে কলকাতা থেকে ৫০ কিমি দূরে রয়েছে অতি গভীর নিম্নচাপ। বৃষ্টির দাপট বাড়ছে জেলায় জেলায়। পুজোর আগে ফের বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা। মোটের উপর যা অবস্থা এই মুহূর্তে প্রায় কলকাতার উপরেই শক্তিশালী নিম্নচাপ। তাতে শনিবার ও রবিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
চরম ভারি বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। ঘণ্টায় ৫০-৫৫ কিমি বেগে হাওয়া দিতে পারে। এদিকে ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টিতে বিপদ আরও বাড়তে পারে বাংলার। নিচু এলাকা জলমগ্ন হওয়ার জোর আশঙ্কা। তবে সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। এদিন সকালে মানিকতলা বৃষ্টি হয়েছে ১৪ মিলিমিটার। দত্ত বাগানে ১৭ মিলিমিটার। ধাপা ২৮ মিলিমিটার। তপসিয়ায় ৩৭ মিলিমিটার। ঠনঠনিয়ায় ১২ মিলিমিটার। ট্যাংরায় ৩৯ মিলিমিটার। বালিগঞ্জে ১৩ মিলিমিটার। মোমিনপুরে ২০ মিলিমিটার। চেতলায় ১৮ মিলিমিটার। যোধপুর পার্কে ৪২ মিলিমিটার। কালীঘাটে ৩২ মিলিমিটার।
রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মূলত বাংলা ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের জন্য থাকছে এই সতর্কবার্তা। বঙ্গোপসাগরে ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট দেখা যেতে পারে। এদিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ঘোরাফেরা করছি ৭৫ থেকে ৯৮ শতাংশের আশপাশে। অন্যদিকে বৃষ্টির দাপট থাকছে উত্তরবঙ্গেও। শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই। দার্জিলিং থেকে মালদহ, উত্তরবঙ্গের আটটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।