কলকাতা: মোদীর মন্ত্রিসভায় (Modi Cabinet) এবার জায়গা পেতে পারেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijavargiya)। মধ্যপ্রদেশের একটি আসনে উপনির্বাচন হবে। সেখানে প্রার্থী হতে পারেন কৈলাস। এমনটাই বিজেপি অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে। তবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বুধবারের কর্মসূচি সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানা যায়নি। জানা যাচ্ছে, সকালে দিল্লিগামী কোনও বিমানেরই টিকিট কাটেননি তিনি। দিল্লি থেকে ফোন না এলে, তিনি যেতে পারেন ঝাড়গ্রাম।
বুধবার সকালে নিয়ম মেনেই ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে। তাঁকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “মন্ত্রী সভার রদবদল হবে এটা শুনছি। তাও সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে। পার্টিগত ভাবে বা অফিসিয়ালি কোনও খবর নেই।”
ইতিমধ্যে অন্য রাজ্যের সাংসদরা দিল্লি যাওয়ার ফোন পেয়েছেন। বাংলার এখনও কেউ ফোন পান নি বলেই খবর। যেহেতু বিকেলে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। তাই বিশ্লেষকদের অনেকে ভাবছেন, সকালে ফোন আসতে পারে। এদিকে মন্ত্রিসভায় দীনেশ ত্রিবেদীও ঠাঁই পেতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে।
বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, মন্ত্রিসভায় রদবদল হলে কী পেতে পারে বাংলা? বিজেপি সূত্রে খবর, দলীয় শীর্ষ স্তরে আপাতত পাঁচটি নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ১৮। তাঁদের মধ্যে বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী মন্ত্রী। দলের অন্দরে গুঞ্জন, ওঁদের এক জনকে এবার বিদায় নিতে হতে পারে। বদলে এক বা দুটি নতুন মুখ আসতে পারে।
রদবদলের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে দিল্লিতে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নতুন মুখের মধ্যে বাংলা থেকে কারা থাকবে? যে পাঁচ জনকে নিয়ে আলোচনা চলছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক, জগন্নাথ সরকার, জন বার্লা, শান্তনু ঠাকুর ও দীনেশ ত্রিবেদী।
নিশীথ প্রামাণিক, জগন্নাথ সরকার বিধানসভা ভোটে জিতলেও দলের নির্দেশে বিধায়ক পদে শপথ নেন নি তাঁরা। বঙ্গ যুদ্ধে হার হলেও দলের প্রতি আনুগত্যের পুরস্কার হিসাবে তাঁদের নাম আলোচনায় রয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। এদিকে, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা সম্প্রতি পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দল বঙ্গ বিভাজন চায় না। কিন্তু উত্তরবঙ্গের প্রতি ধারাবাহিক অন্যায়ও উপেক্ষা করার নয়। এই পরিস্থিতিতে বার্লাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হলে পৃথক রাজ্যের দাবিতে পরোক্ষে সমর্থন করা হবে বলে অনেকে মনে করছেন।
এদিকে, নাগরিকত্বের আশ্বাস পেয়ে উদ্বাস্তু মতুয়াদের বড় অংশই এখন বিজেপির সমর্থক। বিধানসভা ভোটেও তাঁরা কেন্দ্রের শাসকদলের পাশে থেকেছেন। ভবিষ্যতেও মতুয়া ভোট যাতে সঙ্গে থাকে, সেই হিসাব কষে মতুয়া মহাসঙ্ঘের অন্যতম মুখ শান্তনু ঠাকুরকে মন্ত্রী করা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় শূন্য হয়েও নওশাদের বক্তব্যে ভেসে উঠল বামেরা, বক্তা হিসাবে নজর কাড়লেন জুন
বিধানসভা ভোটের আগে নাটকীয় ভাবে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল ছেড়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। তখন থেকেই গুঞ্জন তাঁকে মন্ত্রী করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। তবে পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পদে সম্ভাব্য দাবিদার হিসাবে লড়াকু মহিলা নেত্রী হিসাবে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কপালেও শিকে ছিঁড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।