কলকাতা: শুক্রবার সকালে নাকতলায় হাজির হয়েছে ইডি। নাকতলা বললেই আসে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। ওই এলাকাতেই থাকতেন তিনি। তাঁর সেই বাড়ির ঠিক কয়েকটি বাড়ি পরেই একটি অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। জানা যাচ্ছে, যাঁর বাড়ি ও অফিসে এই তল্লাশি চলছে তাঁর নাম রাজীব দে। পেশায় প্রোমোটার। তাঁর সঙ্গে যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পরিচিতি ছিল, এ কথা এলাকার অনেকেই জানেন। কিন্তু এমন কোন সূত্রে খুঁজে পাওয়া গেল যে একেবারে তাঁর অন্দরমহলে ঢুকে পড়ল ইডি? দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে কি হাত ছিল রাজীবের?
রাজীব দে প্রসঙ্গে উঠে আসে ‘ইম্প্রলাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার নাম। ইডি সূত্রে জানা যায়, এই সংস্থায় এক সময় ডিরেক্টর ছিলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ এই প্রোমোটার রাজীব দে। সেই সময় সংস্থায় আরও এক ডিরেক্টর ছিলেন পার্থর স্ত্রী বাবলি। ২০২০ সালে বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর পার্থর জামাই কল্যাণময় এবং তাঁর মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারী ওই সংস্থার ডিরেক্টর হন।
ইডি সূত্রের খবর, পার্থ ঘনিষ্ঠ দুই কাউন্সিলর পার্থ সরকার এবং বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে জেরা করে রাজীব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে ইডি। প্রশ্ন উঠেছে রাজীব কি পার্থর স্ত্রী এবং জামাইকে সামনে রেখে নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল টাকা প্রোমোটিং-এর ব্যবসায় লগ্নি করেছেন?
আরও জানা যায়, শান্তিনিকেতনে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের অপা নামে যে বাড়ি রয়েছে, তারও দেখভাল নাকি করতেন এই রাজীব। নিজেকে পার্থর ‘ভাগ্নে’ বলেই পরিচয় দিতেন বলে জানা যায়। প্রায়ই তিনি যেতে শান্তিনিকেতনে।