কলকাতা:
একজন-আধজন নয়, গত কয়েকদিন ধরে গ্রামের বহু মহিলা একই অভিযোগ করছেন। গ্রামের পুরুষেরাও বলছেন সে কথা। সন্দেশখালির রাতের মিটিং। গভীর রাতেরও বলা চলে। কী হত, সেই খোঁজ নিতে ইতিমধ্যেই গ্রাম ঘুরে এসেছেন রাজ্য় ও জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। মহিলাদের মুখ থেকে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা শুনেছে তফশিলী জাতি-উপজাতি কমিশনও। কিন্তু ঠিক কী হত সেই রাতের বৈঠকে? বাড়ির বউ-দের কেন তলব করা হত অন্ধকারে? TV9 বাংলায় মুখ খুললেন সন্দেশখালির এক মহিলা। নাম প্রকাশ করেননি, মুখ ঢাকা ছিল লাল কাপড়ে। কিন্তু তাঁর কণ্ঠস্বরেই স্পষ্ট, কতটা আতঙ্কে রয়েছেন তিনি।
TV9 বাংলায় ঠোঁটকাটা অনুষ্ঠানে সন্দেশখালির এক মহিলা জানান, কীভাবে তাঁদের ডাকা হত। তিনি জানিয়েছেন, রাত বাড়লে বাড়িতে খবর যেত, এখনই যেতে হবে পার্টি অফিসে। মিটিং আছে। এত রাতে কিসের মিটিং? সেই প্রশ্ন করার অধিকার ছিল না মহিলাদের। না গেলে জুটবে মার, আরও অনেক বঞ্চনা। তাই স্বামী-সন্তানকে বাড়িতে রেখেই ছুটতে হত পার্টি অফিসে, এমনটাই বলেছেন ওই মহিলা।
মিটিং-এ কি কোনও নির্দেশ দেওয়া হত? হত কোনও আলোচনা? মহিলা বলেন, ‘মাঝে মাঝে বলত এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে। তার বেশি কিছু নয়। তারপর বসিয়ে রাখা হত। অনেকক্ষণ বসিয়ে রাখত। যারা একটু সুন্দর দেখতে তাদের আলাদা করে ডাকা হত। বাকিদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হত। যারা থেকে যেত তাদের সকালে জিজ্ঞেস করলে তারা মুখ শুকিয়ে থাকত, উত্তর দিতে পারত না।’
মহিলার কথায়, ‘স্বামী আছে, সন্তান আছে, সংসার আছে। কে বলবে শ্লীলতাহানির কথা? ওরা তো পার্টি করে না, ব্যবসা করে। বহু লোককে পিটিয়েছে। এবার আমরা মা-বোনেরা সবাই এক হয়েছি। শেষ দেখে তবেই ছাড়ব।’