কলকাতা: শুধুমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। ভোটে জিততে প্রয়োজন উন্নয়ন। বিলক্ষণ জানেন, বোঝেন জনপ্রতিনিধিরা। বছর ঘুরলেই ভোট, তার আগে এলাকার উন্নয়নে রাজ্য নয়। কেন্দ্রের দ্বারস্থ বিজেপি বিধায়করা। বিধায়কদের অভিযোগ, এলাকার উন্নয়নে সাহায্য তো দূর অস্ত! প্রশাসনিক বৈঠকই ডাকে না রাজ্য। তাই কেন্দ্রের কাছে যেতেই হবে। বলছে বিজেপি পরিষদীয় দল।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর বিজেপি বিধায়কদের সেতুবন্ধনের কাজ করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই বিরোধী দলনেতা পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে ই-মেল করার জন্য। সেভাবেই সাক্ষাতের সুযোগ মিলবে। ইতিমধ্যেই গুটি কয়েক বিধায়ক নিজের এলাকার উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। দাবিদাওয়া জানিয়েছেন। খবর এমনটাও।
উন্নয়নের স্বাদ-গন্ধ পৌঁছে দিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে কেন্দ্রীয় সরকারই ভরসা পদ্ম শিবিরের?
তবে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হতে চাওয়া বিধায়কের সংখ্যাটা এখন আরও বাড়ছে। কেন্দ্রের কাছ থেকে উন্নয়নের কাজ করিয়ে আনা সম্ভব, বলছেন বিজেপি বিধায়করা। রাজনীতির কারবারিদের অনেকের মতে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে জাদুকাঠি নেই যে গেলেই কাজ হয়ে যাবে। কিন্তু এলাকায় বিজেপি বিধায়করা বার্তা দিতে পারবেন যে তাঁরা চেষ্টাটুকু অন্তত করেছেন। সেই সঙ্গে এই কৌশল নিয়ে তৃণমূল যে উন্নয়ন করতে দেয় না সে কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছে বিজেপি। এই সব বিষয় সামনে রেখেই এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করার লাইন পড়েছে বিজেপি বিধায়কদের।
এদিন এ বিষয়ে বৈঠক করল বিজেপি পরিষদীয় দল। ৩১ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিলের মধ্যে ১০ জন বিধায়ক দিল্লি যাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে রেল মন্ত্রী, বিমান মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী, পঞ্চায়েত মন্ত্রী, স্বাস্থ্য় মন্ত্রী-সহ আরও কয়েকজন মন্ত্রীর কাছে যাবেন বিজেপি বিধায়করা। তাহলে কী ভোট কড়া নাড়ছে বলেই এভাবে উন্নয়নের জন্য দরবার, উঠছে প্রশ্ন। যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের মতে, একুশের ভোটের পরে সন্ত্রাসের পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেকটা সময় গিয়েছে। তারপরে পঞ্চায়েত ভোট, লোকসভা ভোট। সব মিলিয়ে সময় পরিস্থিতি অনুকূল দরবার করার জন্য। যদিও এখন দেখার এই উদ্যোগে চিঁড়ে ভেজে কিনা।