CM Mamata Banerjee: ‘কেন এত নেতা খুন হচ্ছে? আইবি কেন আগে থেকে খবর পাচ্ছে না?’ পুলিশের উপর ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী
CM Mamata Banerjee: হুগলি থেকে উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া থেকে কোচবিহার, একের পর এক জেলা থেকে লাগাতার এসেছে তৃণমূল নেতা খুনের অভিযোগ। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোরের অন্ত নেই।

কলকাতা: কেন এত নেতা খুন হচ্ছেন? ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ নিয়ে বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পুলিশ সুপার, আইসি, ওসিদের নিজেদের এলাকা দায়িত্ব সহকারে দেখার নির্দেশ। কোনও পুলিশ অফিসারের নাম না করে এই নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। গত কয়েক দিন ধরে বেশ কিছু জেলায় খুন হয়েছেন বেশ কিছু শাসক দলের নেতা। সেই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মতা ওয়াকিবহাল মহলের।
মমতার সাফ কথা, থানার ভূমিকা ভাল করে দেখতে হবে। আইবি কেন আগে থেকে খবর পাচ্ছে না? প্রশ্ন মমতার। এরপরই রীতিমতো ক্ষোভের সুরে বলেন, দায়িত্ব নিয়ে বসে থাকলাম, কাজ করলাম না সেটা করলে হবে না। সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন জেলাশাসক এবং বিভিন্ন জেলার এসপি থেকে শুরু করে কমিশনারেটের সিপিরা।
হিসাব বলছে ৩৭ দিনে রাজ্যে তৃণমূলের ১০ নেতা-কর্মী খুন। ইংরেজবাজার, ভাঙড় থেকে সুতি। লাভপুর-মল্লারপুর থেকে কোচবিহার, বারবার গুলি-বোমা। সম্প্রতি বারবার টার্গেট হয়েছেন শাসক নেতা। একাধিক জায়গায় শাসক নেতা খুনে গোষ্ঠীদ্ব্ন্দ্বের দিকেই আঙুল উঠেছে। গ্রেফতার হয়েছে শাসক দলের নেতা কর্মীরা। সোনামুখীতে শাসক নেতা খুনের নেপথ্যেও কি তৃণমূলের কোন্দল? চাপনউতোর চলছেই। কয়েকদিন আগেই কোন্নগরে প্রকাশ্য রাস্তায় এলোপাথাড়ি কোপ মেরে খুন করা হয় দাপুটে তৃণমূল নেতাকে। বাঁকুড়ায় আবার গত সোমবার রাত ৯টা নাগাদ পর পর গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূলের বুথ কনভেনারকে। অন্যদিকে কোচবিহারে ভরা বাজারে গুলি করে খুন করা হয়েছে ডায়াগুড়ির পঞ্চায়েত প্রধান কুন্তলা রায়ের ছেলেকে। তা নিয়ে চাপানউতোর যখন পুরোদমে তারইমধ্যে মমতার উদ্বেগ প্রকাশ পুলিশের উপর চাপ বাড়াবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
