কলকাতা: সিএফএসএলের রিপোর্টের ভিত্তিতে সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে একের পর এক প্রশ্নবাণ ডব্লিউবিজেডিএফের। সিএফএসএলের রিপোর্টের প্রতিফলন চার্জশিটে নেই কেন? এরপরও তথ্যপ্রমাণ লোপাট নিয়ে কোনও গ্রেফতার করা হল না কেন? প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের। আটতলায় অর্থোপেডিক ওটি’র উল্টোদিকের ঘর কেন সিল করেছিল সিবিআই? সেই প্রশ্নে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয়েছে।
এদিকে অপেশাদারিত্বের ছাপ রেখে শৌচাগারের দেওয়ার ভাঙা হয়েছে বলে সিএফএসএলের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু কেন এত তাড়াহুড়ো? সেমিনার কক্ষ অসংরক্ষিত কেন ছিল? ঘটনাস্থল কি আদৌ সেমিনার রুম কি না প্রশ্ন তুলেছে সিএফএসএলের রিপোর্ট। তার প্রতিফলন চার্জশিটে নেই কেন? প্রশ্ন তুলছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
এদিকে অর্থোপেডিক ওটি রুমের উল্টোদিকের ঘর থেকে উদ্ধার হয় ব্যবহৃত গ্লাভস, মাস্ক। সামনে এসেছে ভিডিয়ো। মেঝেয় লেগে রয়েছে গাঢ় লাল রঙের দাগও। প্রকাশিত ভিডিয়োয় সিস্টার, চিকিৎসকদের কণ্ঠস্বরও শোনা যাচ্ছে। তাহলে সেমিনার রুমে ঘটেনি আসল ঘটনা? এই প্রশ্ন ঘুরছিল অনেকদিন থেকেই। এবার সিএফএসএলের রিপোর্ট সামনে আসতেই ফের নতুন করে সুর চড়াচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
কখন, কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল? কোনও তথ্য ৮ অগস্ট রাতে উধাও হয়নি তো? ধৃত সিভিক দীর্ঘ আধ ঘণ্টা কোথায় ছিল? অর্থোপেডিক ওটি রুম কেন বন্ধ আছে? CFSL রিপোর্টের ভিত্তিতে WBJDF তরফে এভাবেই করা হচ্ছে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন। আটতলার এই ঘরে আটকে রয়েছে একটি আর্থোস্কোপিক মেশিন। রোগী স্বার্থে সেই যন্ত্র বার করার জন্য সিবিআইয়ের সঙ্গে কথা বলে যন্ত্র বার করানোর কথা ভাবছিলেন আরজি কর কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, সিএফএসএলের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর সেই ভাবনা বাতিল করে ফেলেছেন আরজি কর কর্তৃপক্ষ। সিবিআইয়ের লিখিত অনুমতির ভিত্তিতেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাসপাতালের কর্তারা। এই ঘর কেন সিবিআই সিল করেছিল? সিএফএসএলের রিপোর্টের সঙ্গে ঘরের যোগসূত্রের সম্ভাবনা ব্যাখ্যা করে স্বাস্থ্য ভবনকেও চিঠি দেওয়া হবে বলে আরজি কর সূত্রে খবর।