কলকাতা: গরিব মুখ ফেরাচ্ছে। গরিব মানুষেরা ভোট দিচ্ছেন না তাদের। লোকসভা ভোট পর্যালোচনায় সিপিআইএমের বৈঠকে সে কথা উঠে এসেছিল। কিন্তু, গরিবের ভোট ফেরাতে চান সিপিআইএম নেতৃত্ব। নামে সর্বহারার পার্টি, কিন্তু ফুটপাতের দখলদার হটানোর পর্বে হকারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কী? অনেকেই বলছেন এমন ছবি তো বিশেষ ধরা পড়েনি।
ব্যতিক্রম অবশ্য রামপুরহাট পুরসভার একমাত্র সিপিআইএম কাউন্সিলর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সঞ্জীব মল্লিক। বুলডোজারের সামনে দাঁড়িয়েছেন। আর কাউকে সে অর্থে দেখা না গেলেও অবশ্য লিখিত প্রেস বিবৃতি দিয়েছেন সিপিআইএমের শ্রমিক নেতৃত্ব। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উত্তরও দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সঞ্জীব মল্লিকের ছবি ব্যবহার করে সমাজ মাধ্যমে সুর চড়িয়েছেন সিপিআইএম। কিন্তু রাস্তায় দেখা যায়নি। হকারদের ইস্যুতে সরাসরি রাস্তায় নেমে বিরোধিতা নিয়ে সিপিআইএম অবশ্য দ্বিধা বিভক্ত বলে খবর।
একাংশের মতে, দখলদার হটানো নিয়ে শুরুতে বিরোধিতা করলে বারবার করে অপারেশন সানসাইনের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল সিপিআইএমের বিরুদ্ধে ফায়দা তুলতো। আবার ফুটপাত দখল যেভাবে হয়েছে, তা নিয়ে শহর-শহরতলির মানুষ ক্ষুব্ধ। ফলে শুরুতেই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে তাতে ফল হিতে বিপরীত হত। সে কারণেই আপাতত ধীরে চলো নেওয়া হয়েছিল বলে সিপিআইএম নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য।
তবে গরিবের মানুষের পক্ষে থাকা নিয়ে কোনও আপোষ নয় বলছেন দলের নেতাদের আরেক অংশ। বলছেন, লোকসভা ভোটে আমাদের মূল স্লোগান রুটি রুজির পক্ষে ছিল। ফলে আমরা যে গরিবের পক্ষে আছি, তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। কিছু ক্ষেত্রে সময় নিয়ে এগোতে হয়, সে কারণে একটু ধীরে চলো। আর দল যে হকার উচ্ছেদের বিরোধী তা তো সঞ্জীবের পাশে দাঁড়ানোতেই স্পষ্ট। তবে নেতারা অনেকেই এটা স্বীকার করছেন, আরও সক্রিয় ভাবে রাস্তায় নামার প্রয়োজন ছিল। সেটা করা যায়নি।