Calcutta High Court: আদালতের নির্দেশ এত হালকাভাবে কেন নিচ্ছে পুলিশ? প্রোমোটারের সঙ্গে ঝামেলায় এক ব্যক্তির প্রাণ যেতেই প্রশ্ন হাইকোর্টের
Calcutta High Court: প্রোমোটারের সঙ্গে জমি নিয়ে ঝামেলার কারণে ৭ অগস্ট উলুবেড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। নিরাপত্তা নিয়ে যে তাঁরা ভয়ে রয়েছেন সেই আশঙ্কার কথাও জানিয়েছিলেন পুলিশকে। তারপরও ওঠে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ।
কলকাতা: আদালতের নির্দেশেও কাজ হয়নি। প্রাণ গেল একজনের। প্রশ্ন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের। প্রোমোটারের সঙ্গে জমি নিয়ে ঝামেলার কারণে ৭ আগস্ট উলুবেড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। নিরাপত্তা নিয়ে যে তাঁরা ভয়ে রয়েছেন সেই আশঙ্কার কথাও জানিয়েছিলেন পুলিশকে। কিন্তু, পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। তারপরই বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন ওই মহিলা। সেই মামলা উঠেছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। তখই পুলিশকে মহিলার পরিবারের নিরাপত্তায় যাতে কোনও খামতি না থাকে তা দেখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। এদিকে এরইমধ্যে ঘটে যায় বড় ঘটনা।
অভিযোগ, সোমবার রাতে মামলাকারী মহিলার স্বামীকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। তা নিয়েই এদিন আদালতে ওই মহিলার আইনজীবী ক্ষোভ উগরে দেন। সাফ জানান, আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার জন্য, নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার জন্য আগেই তদন্তকারী অফিসারকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ ছিলেন। উল্টে বলেছিলেন, এমন নির্দেশ সব ক্ষেত্রেই দেয় হাইকোর্ট। কোনও কাজ না করে হাত গুটিয়ে পুলিশ বসে থাকে বলে অভিযোগ মামলাকারী মহিলার আইনজাবীর। এ কথা শুনে এদিন এজলাসে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি।
বিরক্তির সঙ্গেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, এবার তো মানুষটি মারাই গেল। এবার কী হবে। তারপরই পুলিশের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, “হাইকোর্টের অর্ডার কী উলুবেড়িয়া থানার আইসি সিরিয়াসলি নেননি? কী করে দুষ্কৃতীরা এত সাহস পাচ্ছে? পুলিশ এত হালকাভাবে কেন নিচ্ছে কোর্ট অর্ডার! এবার এসপি আদালতে এসে শুনুন তার পুলিশের কোর্ট অর্ডার নিয়ে কী বক্তব্য। এরপরই পুলিশকে তাঁদের দায়িত্ব মনে করিয়ে বিচারপতি বলেন, নিরাপত্তা দিতে বলা বা এলাকায় নজরদারি রাখতে বলার মানে সেখানে সেটার প্রয়োজন রয়েছে। সেটা বুঝতে পেরেই আদালত এই নির্দেশ দেয়। এটার মানে এই নয়, সেটা হালকা ভাবে নেবে পুলিশ।
এদিনে এদিন শুনানি চলাকালীন সময়েই মামলাকারীর আইনজীবী জানান, তিনি শীঘ্রই তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছিল তা হলফনামা জমা দিয়ে জানাবেন। সূত্রের খবর, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর এসপি হাওড়া রুরাল ও আইসি উলুবেড়িয়া হাজিরা দেবেন আদালতে। একইসঙ্গে প্রথম মামলা ও পরে খুনের তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে উলুবেড়িয়া থানার।