CM Mamata Banerjee: নেতা থেকে আধিকারিক, সবাই খাচ্ছেন বকা, ভোটে দারুণ ফলের পরেও কেন রেগে মমতা?

Jun 13, 2024 | 10:08 PM

CM Mamata Banerjee: ৪ তারিখ রাজ্যের জনতার রায় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফল প্রকাশের পর বিজয় উল্লাসেও মেতেছেন জোড়া ফুলের কর্মী সমর্থকরা। কিন্তু সেই উল্লাসে সবাই অংশ নিতে পারছেন কী? ফলাফলের যত বিশ্লেষণ হয়েছে ততই উঠে এসেছে একের পর এক মাথা ব্যথার তথ্য ও পরিসংখ্যান।

Follow Us

কলকাতা: লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রে নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে। আমার-আপনার জীবন আগের মত করে এগোতেও শুরু করেছে। ৪ তারিখ ফল প্রকাশের দিন দেখা গেল, রাজ্যের জনতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের ওপরই আস্থা রেখেছেন। ৪২টির মধ্যে ২৯টি আসন জিতেছে জোড়া ফুল। এমন ফলের পর যে কোনও দলের অন্দরে বেশ একটা ফিল গুড পরিবেশ থাকার কথা। কিন্তু সেটা তৃণমূলের অন্দরে নাকি দেখা যাচ্ছে না? তা নিয়ে কিছুটা চাপানউতোরও চলছে। এদিকে ২৯টি আসন পেলেও গত কয়েকদিনে দলের নেতা-কর্মী থেকে প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক, মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়েছেন অনেকেই। ভোটে দলের দারুণ পারফরম্যান্সের পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুটা ক্ষুব্ধ কেন? 

৪ তারিখ রাজ্যের জনতার রায় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফল প্রকাশের পর বিজয় উল্লাসেও মেতেছেন জোড়া ফুলের কর্মী সমর্থকরা। কিন্তু সেই উল্লাসে সবাই অংশ নিতে পারছেন কী? ফলাফলের যত বিশ্লেষণ হয়েছে ততই উঠে এসেছে একের পর এক মাথা ব্যথার তথ্য ও পরিসংখ্যান। রাজ্যের একাধিক পুরসভায় মুখ থুবড়ে পরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তরবঙ্গে এবারও দাগ কাটতে পারেনি ঘাসফুল। বিশ্লেষকরা বলছেন, কাজ করেনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফর্মুলা। কেন এমনটা হল? নির্বাচিত সাংসদদের বৈঠকে নেত্রীর মুখে মধুর সম্ভাষণ শোনেননি নেতা-কর্মীরা। তৃণমূল নেত্রী কালীঘাটের বৈঠকে বলেছিলেন, আমি ৩ দিন রাস্তায় না নামলে কলকাতা উত্তর বেরোত না। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য কেন? ওয়ার্ডভিত্তিক মার্কশিটে চোখ বোলাতেই কিন্তু বিষয়টা স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

কলকাতা শহরের বহু ওয়ার্ডে পিছিয়ে তৃণমূল। রাজ্যের ৭ মন্ত্রীর বিধানসভায় তৃণমূল পিছিয়ে। শিলিগুড়ি ও বাঁকুড়ার সব ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে। একইসঙ্গে শিক্ষিত শহুরে ভোটাররা সকলে পাশে দাঁড়াননি। হিন্দু-অবাঙালি ভোটাররাও অনেকাংশে বিজেপির দিকে ঝুঁকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, তার মানে সংগঠনে কোথাও ফাঁক রয়েছে। অথবা কেউ ফাঁকি দিয়েছে। আর দিলীপ ঘোষের ভাষায় বললে কেউ কাঠি করেছে। দুঁদে রাজনীতির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই রেজাল্ট দেখেই আন্দাজ করেছেন। আর তিনি যে সব বুঝেছেন, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন কালীঘাটের দলীয় বৈঠকে। শুধু দল নয়। প্রশাসনকেও বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সব জানেন। তিনি বললেন, “ওভারলোডিং হয়ে, কয়লা, বালি, গোরু পাচার হচ্ছে। নির্দিষ্ট কোড দেখিয়ে ট্রাক থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। নিচুতলা থেকে উপরতলা, চোখের সামনে পাচার হচ্ছে। পুলিশের একাংশের পকেটে প্রচুর টাকা ঢুকছে। কাঁথিতেও সেই টাকার ভাগ পৌঁছে যাচ্ছে। এই ঘটনা আমি সমর্থন করিনি এবং করব না। পুলিশের বদলি বা ডিউটি তালিকা ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। সিদ্ধান্ত বা অনুমোদনের আগেই নোটিশ ফাঁস হচ্ছে।”    

রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি রাজীব কুমারকেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি ধমক খেয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সচিব হিসেবে। সন্দেশখালির ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। চা বাগানে উন্নয়ন প্রকল্পগুলির প্রতিফলন কেন যথাযথ হচ্ছে না, তার জবাবদিহি চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমবায় সচিব কৃষ্ণা গুপ্তা কেন ঘনঘন দিল্লি যান? প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। ফাইল নোটিংয়ের জন্য শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের জবাবদিহিও চেয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিষয়টা পরিস্কার যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংগঠন ও সরকারের রাশ কোনও ভাবেই আলগা হতে দিতে চান না। চব্বিশের ফল প্রকাশের পর থেকেই কী তাহলে ২৬ এর স্ট্যাটেজি ঘুরতে শুরু করেছে তৃণমূল নেত্রীর মাথায়?

কলকাতা: লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রে নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে। আমার-আপনার জীবন আগের মত করে এগোতেও শুরু করেছে। ৪ তারিখ ফল প্রকাশের দিন দেখা গেল, রাজ্যের জনতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের ওপরই আস্থা রেখেছেন। ৪২টির মধ্যে ২৯টি আসন জিতেছে জোড়া ফুল। এমন ফলের পর যে কোনও দলের অন্দরে বেশ একটা ফিল গুড পরিবেশ থাকার কথা। কিন্তু সেটা তৃণমূলের অন্দরে নাকি দেখা যাচ্ছে না? তা নিয়ে কিছুটা চাপানউতোরও চলছে। এদিকে ২৯টি আসন পেলেও গত কয়েকদিনে দলের নেতা-কর্মী থেকে প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক, মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়েছেন অনেকেই। ভোটে দলের দারুণ পারফরম্যান্সের পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুটা ক্ষুব্ধ কেন? 

৪ তারিখ রাজ্যের জনতার রায় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফল প্রকাশের পর বিজয় উল্লাসেও মেতেছেন জোড়া ফুলের কর্মী সমর্থকরা। কিন্তু সেই উল্লাসে সবাই অংশ নিতে পারছেন কী? ফলাফলের যত বিশ্লেষণ হয়েছে ততই উঠে এসেছে একের পর এক মাথা ব্যথার তথ্য ও পরিসংখ্যান। রাজ্যের একাধিক পুরসভায় মুখ থুবড়ে পরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তরবঙ্গে এবারও দাগ কাটতে পারেনি ঘাসফুল। বিশ্লেষকরা বলছেন, কাজ করেনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফর্মুলা। কেন এমনটা হল? নির্বাচিত সাংসদদের বৈঠকে নেত্রীর মুখে মধুর সম্ভাষণ শোনেননি নেতা-কর্মীরা। তৃণমূল নেত্রী কালীঘাটের বৈঠকে বলেছিলেন, আমি ৩ দিন রাস্তায় না নামলে কলকাতা উত্তর বেরোত না। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য কেন? ওয়ার্ডভিত্তিক মার্কশিটে চোখ বোলাতেই কিন্তু বিষয়টা স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

কলকাতা শহরের বহু ওয়ার্ডে পিছিয়ে তৃণমূল। রাজ্যের ৭ মন্ত্রীর বিধানসভায় তৃণমূল পিছিয়ে। শিলিগুড়ি ও বাঁকুড়ার সব ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে। একইসঙ্গে শিক্ষিত শহুরে ভোটাররা সকলে পাশে দাঁড়াননি। হিন্দু-অবাঙালি ভোটাররাও অনেকাংশে বিজেপির দিকে ঝুঁকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, তার মানে সংগঠনে কোথাও ফাঁক রয়েছে। অথবা কেউ ফাঁকি দিয়েছে। আর দিলীপ ঘোষের ভাষায় বললে কেউ কাঠি করেছে। দুঁদে রাজনীতির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই রেজাল্ট দেখেই আন্দাজ করেছেন। আর তিনি যে সব বুঝেছেন, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন কালীঘাটের দলীয় বৈঠকে। শুধু দল নয়। প্রশাসনকেও বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সব জানেন। তিনি বললেন, “ওভারলোডিং হয়ে, কয়লা, বালি, গোরু পাচার হচ্ছে। নির্দিষ্ট কোড দেখিয়ে ট্রাক থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। নিচুতলা থেকে উপরতলা, চোখের সামনে পাচার হচ্ছে। পুলিশের একাংশের পকেটে প্রচুর টাকা ঢুকছে। কাঁথিতেও সেই টাকার ভাগ পৌঁছে যাচ্ছে। এই ঘটনা আমি সমর্থন করিনি এবং করব না। পুলিশের বদলি বা ডিউটি তালিকা ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। সিদ্ধান্ত বা অনুমোদনের আগেই নোটিশ ফাঁস হচ্ছে।”    

রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি রাজীব কুমারকেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি ধমক খেয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সচিব হিসেবে। সন্দেশখালির ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। চা বাগানে উন্নয়ন প্রকল্পগুলির প্রতিফলন কেন যথাযথ হচ্ছে না, তার জবাবদিহি চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমবায় সচিব কৃষ্ণা গুপ্তা কেন ঘনঘন দিল্লি যান? প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। ফাইল নোটিংয়ের জন্য শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের জবাবদিহিও চেয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিষয়টা পরিস্কার যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংগঠন ও সরকারের রাশ কোনও ভাবেই আলগা হতে দিতে চান না। চব্বিশের ফল প্রকাশের পর থেকেই কী তাহলে ২৬ এর স্ট্যাটেজি ঘুরতে শুরু করেছে তৃণমূল নেত্রীর মাথায়?

Next Article