Suvendu Adhikari on Diamond Harbor’s Meeting : শুধু ডায়মন্ড হারবারেই কেন প্রশাসনিক বৈঠক? মুখ্যসচিবকে নিশানা করে জনস্বার্থ মামলার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 29, 2023 | 12:35 PM

Suvendu Adhikari on Diamond Harbor’s Meeting : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee) যেটা করে দেখিয়েছেন সেটার সমালোচনা না করে সারা ভারতে তা রোল মডেল করলে দেশের মানুষের উন্নয়ন হবে। পাল্টা প্রতিক্রিয়া তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের (Shantanu Sen)।

Suvendu Adhikari on Diamond Harbor’s Meeting  : শুধু ডায়মন্ড হারবারেই কেন প্রশাসনিক বৈঠক? মুখ্যসচিবকে নিশানা করে জনস্বার্থ মামলার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

Follow Us

কলকাতা : অভিষেকের প্রশাসনিক বৈঠক নিয়ে তোপ বিজেপির (BJP)। টুইটে খোঁচা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করেছে জেলাশাসক। বাংলায় ৪২টি সংসদীয় কেন্দ্র। কেন শুধুমাত্র ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করলেন জেলাশাসক? প্রশ্ন শুভেন্দুর। ডায়মন্ড হারবার লাগায়ো জয়নগর, মথুরাপুর ও যাদবপুরের মতো সংসদীয় এলাকায় কী জেলাশাসক একইরকম ব্যবস্থা করবেন? টুইটে এই প্রশ্নও তুলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়কের (Nandigram MLA)। এই প্রশ্নই তিনি সরাসরি ছুড়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর দিকে। এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও উত্তর পাওয়া না গেলে আগামী দুপ্তাহের মধ্যে তিনি জনস্বার্থ মামলা করারও হুশিয়ারি দিয়েছেন। “বিজেপির সাংসদের প্রশ্ন করুন তাঁরা কি এলাকায় নিয়মিত যান! তাঁদের কি কোভিডের সময় পাওয়া গিয়েছিল? আমফানের সময় তাঁদের কি পাওয়া যায়?” পাল্টা প্রশ্ন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের (TMC MP Shantanu Sen)।  

এদিনের টুইটেই আবার সাংসদের নিয়ে সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনের বৈঠক নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দুকে। কেন এই বৈঠক হচ্ছে না তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এরপরেই তাঁর স্পষ্ট প্রশ্ন, তাহলে একটি মাত্র সংসদীয় কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের জন্য এই ধরনের ভূমিকা কেন পালন করা হচ্ছে? প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাসে একাধিক ইস্যু নিয়ে টুইটে রাজ্য সরকারকে দেগে প্রশ্নবান ছুড়তে দেখা গিয়েছে শুভেন্দুকে। উত্তর না পেলে মামলা ঠুকেছেন কলকাতা হাইকোর্টে। এ ক্ষেত্রেও তিনি সেই পথে হাঁটবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন। তা নিয়েই চাপানউতর বাড়ছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। 

পাল্টা বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “টাকা নিয়ে ধরা পড়ে জেল খাটার ভয়ে বর্তমানে শুভেন্দুবাবু যে দলে গিয়েছেন সেই দল থেকে নির্বাচিত ভারতের বর্তমান প্রধামন্ত্রী আট বছরে কোনওদিন কোনও প্রেস কনফারেন্স করার সাহস দেখাননি। সংসদের দুটি কক্ষে এসে সরাসরি নিজে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি।” শান্তনুর সাফ দাবি, বিজেপি নেতারা মানুষের মুখোমুখি হতে ভয় পান। তবে ভয় পান না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর জেলায় জেলায় অন ক্যামেরা প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন। মানুষের কাছে তাঁর দূতের পাঠিয়েছেন তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনার জন্য। শান্তনুর দাবি, “এই কর্ম-সংস্কৃতি বিজেপি কোনওদিন বিশ্বাস করতে পারে না। বিজেপির সাংসদের প্রশ্ন করুন তাঁরা কী এলাকায় নিয়মিত যান!তাঁদের কী কোভিডের সময় পাওয়া গিয়েছিল? আমফানের সময় তাঁদের কি পাওয়া যায়? কোনও মানুষ বিপদে পড়লে তাঁদের পাশে গিয়ে কি দাঁড়ায়?” শান্তনুর মতে শুধুমাত্র ভোটের সময় পরিযায়ী পাখির মতো দেখা মেলে বিজেপি সাংসদের। তাই অভিষেকের কাজের সমালোচনা না করে সারা ভারতে তা রোল মডেল করলে মানুষের উন্নয়ন হবে।

Next Article