কলকাতা: হাওড়ার নলপুরের কাছে সাতসকালেই বেলাইন ডাউন শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস। বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনও ঘটনা না ঘটলেও কেন বেলাইন হল ট্রেন সেই প্রশ্ন ঘুরছে সহ মহলেই। ইতিমধ্যেই জোরকদমে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে রেল। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা। সব যাত্রীদের উদ্ধার করে তাঁদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পাঠানো হচ্ছে। লাইনচ্যুত হওয়ার সম্ভাব্য কারণ হিসাবে বেশ কিছু জিনিস ভাবাচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিকদের। ট্রেনটি ডাউন মেন লাইন থেকে মিডল লাইনে উঠছিল। এই ক্রসিং পয়েন্টে কোনও বিভ্রাট হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন রেলের টেকনিক্যাল বিভাগের কর্তারা।
নলপুরের ওই যে অংশে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই অংশে তিনটি লাইন রয়েছে। আপ লাইন, ডাউন মেন লাইন, মিডল লাইন। এই মিডল লাইন দিয়ে আপ এবং ডাউন দুই লাইনের ট্রেন চলাচল করে। যে সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে তখন গাড়ির গতি ছিল ঘন্টায় ১৫-২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। সে কারণেই বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদি গতি বেশি থাকত তাহলে অন্য চিত্র দেখা যেত বলে মনে করছেন অনেকেই।
এদিকে দু’টি লাইন বদলের সময় গাড়ির চালককে অনেক সতর্ক থাকতে হয়। আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হয়। এখানে কোনও অসতর্কতা ছিল কিনা, সেটা মূলত খতিয়ে দেখার বিষয়। তা খতিয়ে দেখতে শুরুও করেছেন রেলের কর্তারা। যে এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে সেটি LHB রেকে। তবে পুরনো। স্বাভাবিকভাবেই পুরনো রেক হলেই দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। এ ক্ষেত্রেও কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ কাজ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে আরও একটি বিষয় গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। যেখান থেকে মূলত ট্রেনটি এক লাইন থেকে অন্য লাইনে বদল হচ্ছিল, সেখানে কোন ধাতব বস্তু বা কাঠ বা পাথর রাখা থাকলে এই ধরনের বিপত্তি ঘটে। সেই ধরনের কিছু ছিল কিনা সেটাই এখন মূলত দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে সিগন্যালিং পয়েন্টে গোলমালের জন্য অনেক সময় এই ধরনের ক্রসিং পয়েন্টে বিপত্তি ঘটে থাকে। সেই কারণটিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আধিকারিকরা।