কলকাতা: জায়গায়-জায়গায় বহুতল। একজনের ঘাড়ের উপর দিয়েই আর একজন উঠেছে। আর ফুটপাতের দিকে তাকালে দেখা যাবে সেখান দিয়ে হাঁটাচলার জায়গা নেই। কারণ এক হাত দূরেই-দূরেই গজিয়ে উঠেছে চায়ের দোকান। কোথাও আবার ফাস্ট-ফুড। সল্টলেক-রাজারহাটের অফিসপাড়ার চিত্র এমনটাই। আর এই নিয়েই সোমবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ক্ষোভ উগরে মুখ্যমন্ত্রী। নিজেই বললেন, “সল্টলেক দেখলে আমার লজ্জা হয়…।” তবে কি মুখ্যমন্ত্রী এই ধমকের পর কোনও ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন? উঠিয়ে দেওয়া হবে রাস্তার ধারের চায়ের দোকান থেকে খাবারের দোকানগুলি? সেই উত্তর এখনও যদিও মেলেনি।
মূলত, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ, রাজাহাটে গেলেই এই ধরনের দোকানগুলি দেখা যায়। যেখানে রাস্তার ফুটপাত দখল করে কালো ত্রিপল আর বেঞ্চ নিয়ে বসে দোকান চালান দোকানদাররা। এমনকী নলবনের উল্টোদিকে গেলে দেখা যাবে ফুটপাতের ধারে থাকা লোহার রেলিং কেটে স্থায়ী একটি দোকান বানানো হয়েছে। টিভি ৯ বাংলা সেই দোকানের এক মালিকের সাক্ষাৎকার নেয়। তিনি বলেন, “আমি ২০ বছর ধরে ব্যবসা করি। এখানে চায়ের দোকান ও ভাতের হোটেল আছে। পুলিশ প্রশাসন কেউ এসে কোনওদিন উঠিয়েও দেয়নি। এখন যে যার মতো বসে পড়ে।”
উল্লেখ্য, আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “ওয়েবল আমি নিজে চোখে দেখে এসেছি। কারোও কথা না শুনে। একটু শিফট করাতে হবে। ওইখানে অনেকে আসেন। ফুটপাতে কালো-কালো ত্রিপল দিয়ে ঘেরা। একটু দূরে গিয়ে খাবার খাবেন। ফুড জোন করে দেওয়া হোক।”