কলকাতা : শহরের বুকে ফের গণধর্ষণের অভিযোগ। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন এক গৃহবধূ। আর সম্প্রতি গণধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছে এফআইআর করেছেন ওই মহিলা। তাঁর দাবি, ৪০ লক্ষ টাকা পণ দিতে হবে, এই দাবি জানিয়ে, তাঁর ওপর দিনের পর অত্যাচার করা হয়েছে। কলকাতার একবালপুরের ঘটনা। গত ১০ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উল্লেখ করেছেন ওই গৃহবধূ। তবে, অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রায় ১২ দিন বাদে।
শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি স্বামীর বিরুদ্ধে বৈবাহিক ধর্ষণের অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।
গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁর স্বামী ও পরিবারের অন্যান্যরা দিনের পর দিন তাঁর হাত-পা বেঁধে অত্যাচার করতেন। ২০২০ সাল থেকে পণের টাকা চেয়ে চাপ দেওয়া হত বলে জানিয়েছেন তিনি। গৃহবধূর পরিবারে তরফে একবালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অভিযোগকারীর স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অন্যান্য অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর ওপর শারীরিক নিগ্রহের প্রমাণ মিলেছে বলেই দাবি করেছে পুলিশ।নির্যাতিতা মহিলার দাবি, বিয়ের সময় তাঁর পরিবারের তরফে পণ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সে কথা অস্বীকার করে তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। পণ প্রথা বা নারী নিরাপত্তা নিয়ে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হলেও শহরের বুকে এই অভিযোগ রীতিমতো চাঞ্চল্যকর।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক মেদিনীপুরের গণধর্ষণ নিয়ে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই জেলার পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগে মামলা হাওয়ায় রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।