কলকাতা: তখন গোটা দেশে ঝোড়ো ইনিংস খেলছে মারণ করোনা। করোনাকালেই দেখা গিয়েছিল গোটা দেশে পরিযায়ী শ্রমিকদের চরম দুর্দশার কথা। বাংলা থেকে বিহার, ওড়িশা থেকে পঞ্জাব, একাধিক রাজ্যের পরিযায়ী সঙ্কট (Migrant Worker) নিয়ে চিন্তা বেড়েছিল সরকারের। যদিও তারপর থেকে কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। বাংলাতেও কর্মসংস্থানে জোর দিতে সরকারের তরফে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও কি কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা কমেছে এ রাজ্যের যুবক-যুবতীদের মধ্যে? এবার সেই প্রশ্নই করে ফেললেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক রত্না দে নাগ। শ্রম দফতরের কাছে ছুড়ে দিয়েছেন সেই প্রশ্ন। যা নিয়ে বর্তমানে জোর চর্চা চলছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়।
‘এটা কি সত্যি যে রাজ্যের বেশ কিছু যুবক-যুবতী প্রতি বছর কর্মসংস্থানের জন্য এ রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে কাজের জন্য যাচ্ছেন? সত্যি হলে তার বিস্তারিত বিবরণ কীরূপ?’ বিধানসভায় এ প্রশ্ন করলেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক রত্না দে নাগ। তবে যে সময় এই প্রশ্ন করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল ততক্ষণে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় পেরিয়ে গিয়েছিল বলে খবর। ফলে শ্রম দফতরের তরফ থেকে তাঁকে লিখিত উত্তর দেওয়া হয়েছে জানা যাচ্ছে।
শ্রম দফতরের দাবি, এই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকাঠামো তাদের কাছে নেই। রত্না দে নাগকে দেওয়া উত্তরে লেখা হয়েছে, ‘বেকার যুবক-যুবতীরা প্রতি বছর কর্মসংস্থানের জন্য ভিন্ন রাজ্যে যাচ্ছেন কি না এই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকাঠামো শ্রম দফতরে নেই।’ তবে এই সংক্রান্ত পরিকাঠানো তৈরির উদ্যোগ চলছে বলে জানানো হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘যে সমস্ত মানুষ চাকরি সূত্রে ভিন রাজ্যে যান তাঁদের তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং পরিষেবা প্রদানের জন্য মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণা ও উদ্যোগে শ্রম দফতরের অধীনে পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। পরবর্তীকালে, ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল পরিযায়ী শ্রমিকদের নিবন্ধীকরণ ও তাঁদের বিভিন্ন আর্থিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য কর্মসাথী-পরিযায়ী শ্রমিক অ্যাপ ও পোর্টালের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’